গাইবান্ধায় যুবদল নেতার ওপর নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক আরিফুল ইসলামের (৩০) ওপর আকস্মিক হামলার ঘটনা ঘটেছে। নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী এই হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে সাদুল্লাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করছেন। সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আলীম।
হামলাকারীরা হলেন-স্থানীয় আওয়ামী লীগের ইকবাল হোসেন ডিপটি (৫৮), ছাত্রলীগের সৌরভ মন্ডল (২৭), সৈকত মন্ডল (২৫), রিয়াজুল জান্নাত সোহাগ (৩৭), মিজানুর রহমান (২৬), রিয়াদ মিয়া (২৭), রায়হান মিয়া (৩৬), সিহাব মিয়া (২৩)। এছাড়া অজ্ঞাত আরও বেশ কয়েকজন এই হামলায় জড়িত বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের ছান্দিয়াপুর গ্রামের মৃত আতিকুর রহমানের ছেলে আরিফুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে যুবদল সংগঠনে সক্রিয়ভাবে সাংগঠনিক হিসেবে কাজ করছেন। এক সময়ে ইউনিয়ন যুবদল আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। তখন থেকে ওই ইউনিয়নের কতিপয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আরিফুল ইসলামকে টার্গেট করে ঘায়েল করার চেষ্টা অব্যাহত রাখেন।
এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে আরিফুল ইসলাম প্রয়োজনীয় কাজে মোটরসাইকেলযোগে মহিষবান্দির গোফফারের মোড় নামকস্থানে পৌঁছায়। এরই মধ্যে পূর্বপরিকল্পিতভাবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী তাকে পথরোধ করে এবং লাঠি ও ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে মোটরসাইকেল ভাঙচুর, নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। তারপর আরিফুল ইসলাম ও তার সঙ্গে থাকা মনজুরুল ইসলামকে মারপিট করে হত্যার চেষ্টা করেছে। এসময় এলাকাবাসী টের পেয়ে এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এ ঘটনায় আরিফুল ইসলাম আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
হামলায় শিকার হওয়া আরিফুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় ছাত্রলীগের ওই নেতাকর্মীরা আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। এ ঘটনায় সাদুল্লাপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। আমি সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
সাদুল্লাপুর থানার ওসি আব্দুল আলীম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আনোয়ার আল শামীম/এনএইচআর/জেআইএম