খুলনায় কমেছে সবজির দাম, স্থিতিশীল মাছ-মাংস
খুলনার বাজারে চলতি সপ্তাহে সবজির দাম কমেছে। মাছ ও মাংসের বাজারও রয়েছে স্থিতিশীল। রোববার (২১ ডিসেম্বর) খুলনার নিউ মার্কেট বাজার, রূপসা বাজার ও মিস্ত্রিপাড়া বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, ফুলকপি ২৫-৩০ টাকা কেজি, পালংশাক ৩০-৪০ টাকা, লাউ ২০-৪০ টাকা প্রতি পিস, কুমড়া ৪০ টাকা কেজি, ঢ্যাঁড়স ৪০-৫০ টাকা, টমেটো ৬০-৮০ টাকা কেজি, শিম ৪০-৫০ টাকা কেজি, কাঁচামরিচ দাম কমে ৬০-৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে পেঁয়াজের দাম কমে ৬০-৭০ টাকা কেজি এবং রসুন ৬০-৭০ টাকা কেজি দরে এবং আলু ২০-২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে ব্রয়লার মুরগি ১৬০-১৭০ টাকা কেজি দরে, সোনালি ২৬০ টাকা কেজি দরে ও লেয়ার ২৩০-২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি দরে এবং খাসির মাংস ১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারে রুই আকারভেদে ২২০-২৫০ টাকা, ভেটকি মাছ আকারভেদে ৫০০-৬০০ টাকা কেজি, চিংড়ি ৫০০-৮০০ টাকা পর্যন্ত কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তেলাপিয়া ১৩০-১৬০ টাকা, পাবদা ৩০০-৩৫০ টাকা দরে, পাঙাশ ১৬০-১৮০ টাকা, কাতল ২৪০-২৫০ টাকা কেজি এবং ছোট মাছ ৩০০-৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে গত সপ্তাহ থেকে সবজির দাম নিম্নমুখী। শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাজারে তুলনামূলক বেড়েছে। সরবরাহ ঠিক থাকলে দাম স্থিতিশীল থাকবে বলে ব্যবসায়ীদের ধারণা।

নিউ মার্কেটের সবজি বিক্রেতা আলমগীর হক বলেন, সবজির দাম সরবরাহের ওপর নির্ভর করে। বর্তমানে সব ধরনের সবজির সরবরাহ বাজারে থাকায় দাম অনেক কম রয়েছে। কমেছে কাঁচা মরিচ ও শীতকালীন সবজির দাম।
অন্য একজন সবজি বিক্রেতা কাবিদুল বলেন, পাইকারি বাজারে সবজি সরবরাহ বেড়েছে। তবে এবার শীতকালীন সবজি উৎপাদন বেশি হয়েছে। সরবরাহ ঠিক থাকলে সবজির দাম আরও কমতে পারে।
মাছ ব্যবসায়ী হাসান মিয়া বলেন, এবারও শীতের সময়ে মাছের দাম কম রয়েছে। তবে মাছের বাজারে মন্দা যাচ্ছে। তুলনামূলক ক্রেতা কম। দাম কমলে ক্রেতার চাহিদা বৃদ্ধি পায়, এবার উল্টো। ক্রেতাও কমেছে।
নিউ মার্কেট বাজারে আসা শাহিদুল মোড়ল বলেন, শীতের সবজির দাম কমেছে। কিছুদিন আগেও এসব সবজির দাম অনেক ছিল। ১০০ টাকায় বাজার করতে কষ্ট হয়ে যেতো। এখন একশত টাকায় দুই-তিন পদের সবজি ক্রয় করা যাচ্ছে।
অন্য একজন ক্রেতা আক্তার হোসেন বলেন, সবজির দাম অনেক কমেছে। কিছু কিছু সবজি দাম অর্ধেকে নেমেছে। সারা বছর যদি এরকম দাম হয় তা হলে আমাদের সবার সুবিধা হতো। মাছ ও মাংসের দাম অনেকটা কম রয়েছে। তবে গরুর মাংসের দাম বৃদ্ধির পর এখনো কমেনি।
আরিফুর রহমান/আরএইচ/জেআইএম