নেত্রকোনায় বসতঘর থেকে কৃষকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
নেত্রকোনা সদরের নাড়িয়াপাড়া গ্রামে নিজ বসতঘর থেকে হেলাল উদ্দিন (৫৮) নামে এক কৃষকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) ভোর চারটার দিকে তার স্ত্রী বেদেনা আক্তার প্রতিবেশী রফিকুল ইসলামকে ডেকে স্বামী খুন হওয়ার ঘটনা জানান। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি পুলিশকে জানায়। নিহত হেলাল উদ্দিনের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শনিবার রাতে কৃষক হেলাল উদ্দিন তার স্ত্রী বেদেনা আক্তারের সঙ্গে একই ঘরে ঘুমিয়েছিলেন। পরে রোববার ভোরে স্ত্রীর ঘুম ভাঙলে উঠে বিছানায় স্বামীর গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান। পরে তিনি চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
হেলাল উদ্দিনের স্ত্রী বেদেনা আক্তার বলেন, ‘আমরা প্রতিদিনের মতো রাতে খেয়ে ঘুমাতে যাই। ভোরে উঠে প্রথমে গোয়ালঘরে গরুগুলো দেখতে যাই। সেখান থেকে এসে স্বামীকে বিছানায় খোঁজ করলে বালিশ নিচে পড়ে গেছে দেখে লাইট জ্বালাই। এ সময় স্বামীর গলাকাটা মরদেহ দেখে চিৎকার দিই। আর কিছুই জানি না।’
খুন হওয়া হেলাল উদ্দিনের ছোট ভাই নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘আমার বড়ভাই তাজ উদ্দিন শনিবার বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান। তার দাফন শেষে আমরা একটু দেরিতে ঘুমাতে যাই। আরেক ভাই হেলাল উদ্দিনও নিজের ঘরে ঘুমাতে যান। পরে ভোরে শুনি তাকে গলা কেটে খুন করা হয়েছে। আমার ভাই সহজ-সরল কৃষক ছিলেন। তার কারও সঙ্গে বিবাদ ছিল না। কেন তাকে খুন করা হলো? আমরা এই ঘটনার বিচার চাই।’
নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল মামুন সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত রয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।
নেত্রকোনার পুলিশ সুপার মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ময়মনসিংহ থেকে সিআইডি টিম, পিবিআইসহ পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। আশা করছি খুব দ্রুত ঘটনার রহস্য উন্মোচন হবে।
এইচ এম কামাল/এফএ/এএসএম