ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

পঞ্চগড়ে ঘন কুয়াশায় হাড় কাঁপানো শীত

জেলা প্রতিনিধি | পঞ্চগড় | প্রকাশিত: ১১:৩৫ এএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫

পঞ্চগড়ে রাতের (সর্বনিম্ন) তাপমাত্রা সামান্য বেড়েছে। তবে আবারো কমে গেছে দিনের (সর্বোচ্চ) তাপমাত্রা। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে দিনের তাপমাত্রা কমে ২৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি থেকে কমে রেকর্ড করা হয় ২১ দশমিক ৭ ডিগ্রি।

মঙ্গলবার ভোর থেকেই ঘন কুয়াশায় ঢেকে ছিল গোটা এলাকা। বেরা ১১টা পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। সড়ক-মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। সঙ্গে উত্তরের হিমালয় থেকে বেয়ে আসা হিমশীতল বাতাসের কারণে হাড় কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছে। তিনদিন ধরেই তেঁতুলিয়াসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিকেল থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকে।

ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডায় রিকশা ভ্যানের চালক, কৃষি শ্রমিক, দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। বিশেষ করে আয় কমে গেছে ইজিবাইক ও অটোরিকশা চালকদের।

পঞ্চগড়ে ঘন কুয়াশায় হাড় কাঁপানো শীত

জেলা শহরের মিঠাপুকুর এলাকার রিকশাচালক বসিরুল ইসলাম বলেন, সকাল ১০টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশার জন্য কিছুই দেখা যায় না। আমাদের ভোরের দিকে কাজে বের হতে হয়। তখন খুব ঠান্ডা লাগে। দুপুরের দিকে ঠান্ডা তেমন থাকে না। তবে সন্ধ্যার পর ঠান্ডার কারণে আর বাইরে থাকা যায় না। প্রতি বছর এই সময় আমাদের আয় কমে যায়। এবারও শীতের কারণে আমাদের যাত্রী কমে গেছে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ০ ডিগ্রি। এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি থেকে কমে ২১ দশমিক ৭ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়। চলতি সপ্তাহে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।

জেলা প্রশাসক কাজী মো. সায়েমুজ্জামান বলেন, আমাদের এলাকায় বর্তমানে চরম ঠান্ডা। শীত মোকাবিলা করতে এরইমধ্যে ৮ হাজার ৬৪০ পিস কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আরও ৬৫ হাজার পিস কম্বলের চাহিদা জানিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় প্রতিদিন শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে।

সফিকুল আলম/এফএ/জেআইএম