ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

খালেদা জিয়ার ভাগনে তুহিনকে ফেলে জমিয়তের আফেন্দীর হাত ধরলো বিএনপি

জেলা প্রতিনিধি | নীলফামারী | প্রকাশিত: ০২:৩৯ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫

ডোমার ও ডিমলা উপজেলা নিয়ে গঠিত নীলফামারী-১ আসন। গুরুত্বপূর্ণ এ সংসদীয় আসনে জামায়াত ও এনসিপি অনেক আগে প্রার্থী ঘোষণা করলেও চুপ ছিল বিএনপি। তবে লড়াই করতে চেয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আপন ভাগনে প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন। দল তাকে কেন প্রার্থী ঘোষণা করছে না এ নিয়ে প্রশ্নও ছিল অনেকের। তবে এর অবসান হয়েছে। জোটগত সমঝোতার কারণে আসনটি জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দীকে ছেড়ে দিয়েছে বিএনপি।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এসময় তিনি বলেন, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যারা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করবেন, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দীর বাড়ি নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের কলামদারপাড়া গ্রামে। তিনি জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব। পরিবার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় বাস করেন তিনি। তবে গ্রামে স্বজনরা আছেন। এ আসনে অনেক আগে থেকে নিজেকে প্রার্থী ঘোষণা করে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছিলেন তিনি।

অপরদিকে প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনকে দলীয় প্রার্থী না করায় হতাশা প্রকাশ করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীসহ সমর্থকরা। তারা বলছেন, প্রার্থী নির্বাচনে ভুল করেছে দলের হাইকমান্ড। এ নিয়ে অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভও ঝাড়ছেন।

তুহিন ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এই সংসদ মাত্র ১১ দিন স্থায়ী ছিল। তবে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দীর্ঘ সময় দেশের বাইরে ছিলেন তিনি। ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানের পর তিনি দেশে ফিরে গণসংযোগ শুরু করলে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন করে সাড়া জাগে।

এ আসনে জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সাত্তার দল ঘোষিত একক প্রার্থী। তিনি গত ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়পত্রও সংগ্রহ করেছেন। এনসিপির প্রার্থী হয়েছেন রাশেদুজ্জামান রাশেদ।

এ আসনের পরিসংখ্যান বলছে, ১২টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ছয়বার, জাতীয় পার্টি তিনবার এবং উপ-নির্বাচনসহ বিএনপি তিনবার জয় পেয়েছে।

প্রার্থী ঘোষণার সময় বিএনপি মহাসচিব বলেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রার্থীরা যেসব আসনে নির্বাচন করবেন, বিএনপি সেসব আসনে কোনো প্রার্থী দেবে না। এসময় তিনি জনগণকে খেজুর গাছ প্রতীকে ভোট দিয়ে ধানের শীষকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।

আমিরুল হক/এফএ/এএসএম