ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

কুমিল্লার ঈদ বাজারে ভারতীয় পোশাকের দাপট

প্রকাশিত: ১০:৪০ এএম, ২৮ জুন ২০১৬

কুমিল্লায় জমে উঠেছে ঈদ বাজার। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে কেনাবেচা। এ বছর দেশীয় ফ্যাশন হাউজগুলো ডিজাইনে বৈচিত্র্যতা নিয়ে বিভিন্ন পোশাক বাজারে নিয়ে আসলেও ভারতের নামিদামি ব্র্যান্ড ও জনপ্রিয় সিরিজ নাটকের নায়িকাদের নামানুসারে পোশাকগুলো দখল করে রেখেছে ঈদের বাজার।

এছাড়া ভারত সীমান্তবর্তী এ জেলার বিভিন্ন বাজারে শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সীদের পোশাকে দেশের চেয়ে অধিক মাত্রায় ভিনদেশি পোশাকের আধিপত্যের ব্যাপকতা লক্ষ্য করা গেছে। তবে ভারতীয় পোশাকের দাপটের কাছে এখনো প্রতিযোগিতায় টিকে আছে ঐতিহ্যবাহী কুমিল্লার খাদি সামগ্রীসহ দেশের নামকরা ব্র্যান্ডের পোশাক সামগ্রী।
 
নগরীর বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, মাঝারি থেকে বড় মেয়েদের জন্য তৈরি এ পোশাকের দাম ২ হাজার থেকে ১৫/২০ হাজার টাকা পর্যন্ত। যতই দিন যাচ্ছে ততই পোশাকের দাম ও চাহিদা বাড়ছে। এছাড়া ভারতীয় জলপরী, রাই কিশোরী, আনারকলি, আশিকি, মাসাককলি, সানি, কোয়েল, চিকনি চামেলি, বিপাশা, অর্চনা, অমিত, ডিসকো চালি, জীবিকা, রিভা, বীরা, ছানছান, ঝিলমিল, পাঙ্খুরি, আশিকি টু, বুগিউগি, টুপুরসহ নানা বাহারি নামের বিভিন্ন পোশাক দেদারছে বিক্রি হচ্ছে।

Comilla-eid-bazar

বাজার ঘুরে জানা যায়, কুমিল্লার ঈদবাজারে শাড়ির ক্ষেত্রেও ভারতের দাপট বিদ্যমান। শাড়িতে ভারতীয় নায়িকা ও সিনেমার হাওয়া জোরদার। এর মধ্যে রয়েছে রেশম কা জরি, ঝিলিক, রাধিকা, ওহ লায়লা, তিসমার খান, জারা জারা, আয়শা টাকিয়া, দিল দো কলি, বধূয়া ইত্যাদি নামের ভারতীয় শাড়ি। বিভিন্ন নামের পাথর আর চুমকির কারুকাজ করা গাঢ় রঙের রাসলীলা এসব শাড়িতে বাজারের দোকানগুলো ভরে গেছে। ভারতীয় এসব শাড়ি বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার থেকে ২৫/৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত।

নগরীর সাত্তার খান কমপ্লেক্স নিউ রিলেশনের ব্যবসায়ী আবুল কাশেম জানান, এবারের ঈদে শিশুদের জন্য দেশীয় পোশাকের ডিজাইনে বৈচিত্র্যতা থাকায় চাহিদাও বেশি। বিদেশি পোশাকের পাশাপাশি দেশীয় ফ্যাশন হাউজের পোশাকেরও চাহিদা কম নয়। আমরা দেশি-বিদেশি দুই ধরনের পোশাকই বিক্রি করছি। কেনাকাটার মাত্রা ক্রমে বাড়ছে। প্রচুর কালেকশনও রয়েছে।

এছাড়াও নগরীর ফুটপাতেও পুরোদমে শুরু হয়েছে ঈদ বাজার। সীমিত সামর্থের মধ্যেই নিন্ম-মধ্যবিত্ত লোকজন তাদের পছন্দমতো কেনাকাটা করছেন।

Comilla--eid-bazar

এদিকে ভারতীয় পোশাকের পাশাপাশি দেশীয় সুতি ও জর্জেটের থ্রি-পিস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত। মেয়েদের তৈরি পোশাকের দোকানগুলোতে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে তরুণীদের থ্রি-পিস কেনাকাটার ধূম। নগরীর কান্দিরপাড় সাত্তার খান কমপ্লেক্স, খন্দকার হক টাওয়ার, ময়নামতি গোল্ডেন টাওয়ার, চৌরঙ্গী শপিং সেন্টার, হোসনে আরা ম্যানসন, সাইবার ট্রেড, বিবি সমতট, নূর মার্কেট, রামঘাট এলাকায় কুমিল্লা টাওয়ার, পুলিশ সুপার মার্কেট, রেইসকোর্সে ইস্টার্ন এয়াকুব প্লাজা, নিশা সেল টাওয়ার শপিং জোন ও নগরীর নজরুল এভিনিউতে আড়ং শো-রুম, ইপিজেড সড়কের রোসা শপিং মল-এ তরুণীদের থ্রি-পিস কেনার ধুম পড়েছে।

এছাড়া পাকিস্তানি ও কাশ্মিরী কিছু নিত্যনতুন ডিজাইনের পোশাক ক্রেতাদের আকৃষ্ট করছে। এছাড়াও শিশুদের কাপড়, জুতা ও পাঞ্জাবীর দোকানে ক্রেতাদের ভিড় ক্রমেই বাড়ছে।

কয়েকজন অভিভাবক জানান, ভালো-সুন্দর কালেকশন শেষ হয়ে যাবে। তাই আগেভাগে তারা শিশুদের পোশাক কিনে নিচ্ছেন।

এদিকে কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী খাদির দোকানগুলোতেও এ বছর ঈদ উপলক্ষে নানা ডিজাইনের পাঞ্জাবী, ফতুয়া এবং মেয়ে ও শিশুদের জন্য আনা পোশাক বিক্রি ক্রমেই বাড়ছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।

এফএ/এবিএস