ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

শীতে নাকাল গাইবান্ধা, পুরোনো কাপড়ের দোকানে ভিড়

জেলা প্রতিনিধি | গাইবান্ধা | প্রকাশিত: ০৩:১২ পিএম, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫

কনকনে শীত আর ঘন কুয়াশায় গাইবান্ধার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ভোর থেকে কুয়াশায় ঢেকে রয়েছে জেলার সাত উপজেলার সড়ক ও জনপথ। তীব্র শীতের কারণে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। উত্তরের হিমেল হাওয়ায় নদীর পাড়ের মানুষের জন্য টিকে থাকার আরও কঠিন এক লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে দিনমজুর, রিকশাচালক ও নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।

এদিকে ঠান্ডা কমাতে রাস্তার মোড়ে, চায়ের দোকানের সামনে ও খোলা স্থানে অনেককে লাকড়ি জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে। সন্ধ্যার পর থেকে কুয়াশা ঘন হয়ে পড়ায় পথ চলতে তুলনামূলক বেশি ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ।

অপরদিকে, শীত নিবারণের জন্য গাইবান্ধা শহরের স্বাধীনতা প্রাঙ্গণ, পৌরসভা মার্কেট, পার্ক রোড, টেনিস ক্লাব, চৌধুরী মার্কেটসহ বিভিন্নস্থানে পুরোনো কাপড়গুলোর দোকানে দেখা গেছে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উষ্ণ পোশাকের চাহিদাও বেড়েছে কয়েকগুণ। অনেকেই কম দামে জ্যাকেট, সোয়েটার, কম্বলসহ প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র কিনছেন।

বাজারের পুরোনো কাপড়ের দোকানে সোয়েটার, জ্যাকেট, চাদর, মাফলার, টুপি, হাতমোজা-পামোজাসহ নানা শীতবস্ত্র বিক্রি হচ্ছে সুলভ দামে। স্বল্প আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত ক্রেতারাও ভিড় করছেন এসব দোকানে। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, গত বছরের তুলনায় এ বছর দাম কিছুটা বেড়েছে। বর্তমানে একটি মাফলার ১৫০ টাকা, জ্যাকেট ৩০০ টাকা, চাদর ৩০০ টাকা, সোয়েটার ৩০০ টাকা এবং হাতমোজা বা পামোজা ২০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রিকশাচালক হাশেম আলী বলেন, শীত খুব কষ্ট দিতেছে। কিন্তু ঘরে বসে থাকলে সংসার চলবে না। তাই ঠান্ডা সামলে রিকশা চালাই।

শীতে নাকাল গাইবান্ধা, পুরোনো কাপড়ের দোকানে ভিড়

ক্রেতা জালালু মিয়া বলেন, আমরা গরিব মানুষ, তাই এখানে এসে অল্প দামে শীতের পোশাক কিনেছি। আমাদের মতো আরও অনেক নিম্ন আয়ের মানুষ এখান থেকে কাপড় নিচ্ছে।

ক্রেতা আরশি বেগম বলেন, নতুন কাপড়ের দোকানের চেয়ে এখানে ভালো মানের কাপড় তুলনামূলক কম দামে পাওয়া যায়। তাই প্রতিবছর এ বাজারে আসি।

কোহিনুর আকতার বলেন, বাচ্চা-কাচ্চাদের গরমের নতুন কাপড়ের দাম মার্কেটগুলোতে অনেক বেশি। তাই কম দামে কাপড় কেনার জন্য আসছি। পুরাতন কাপড়ের দোকানদার সুজা মিয়া বলেন, শীত বাড়ার পর থেকে গ্রাহক অনেক বেশি, বিশেষ করে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভিড় লেগে থাকে।

স্থানীয় সচেতন মহল মনে করেন, স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগে যদি পুরোনো কাপড়ের বাজারগুলোকে আরও সুশৃঙ্খলভাবে ও বড় পরিসরে সাজানো যায়, তাহলে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষেরা স্বল্পমূল্যে মানসম্মত শীতবস্ত্র কেনার আরও ভালো সুযোগ পাবে।

আনোয়ার আল শামীম/আরএইচ/এমএস