ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

হাদি হত্যার বিচার দাবিতে কুমিল্লায় সড়ক অবরোধ

জেলা প্রতিনিধি | কুমিল্লা | প্রকাশিত: ০৭:৫৭ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরীফ ওসমান হাদির হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে কুমিল্লা নগরীতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যরা।

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টা থেকে কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় পূবালী চত্বর এলাকায় কুমিল্লা মহানগর ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সদস্যরা এ কর্মসূচি পালন করেন। এতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রছাত্রী এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা অংশ নিয়েছেন।

পুবালি চত্বরে গিয়ে দেখা গেছে, ইনকিলাব মঞ্চের কর্মীরা সড়ক অবরোধ করে স্লোগান দিচ্ছেন ‘হাদি হাদি আজাদি আজাদি’, হাদি হত্যার বিচার, করতে হবে করতে হবে। আপোস নয় সংগ্রাম সংগ্রাম, লীগ ধর, বিচার করসহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে।

আন্দোলনকারীরা বলেন, তারা হাদির খুনের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে চার্জশিট প্রদানের দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেন, হাদি এক প্রচণ্ড দ্রোহ ও বিপ্লবের নাম। হাদির মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করতে হবে। আমরা এ নির্মম হত্যার বিচার চাই। হাদি এক সংগ্রামের নাম। বিপ্লবের নাম। হাদিরা কয়েক শতকে এক বার জন্মায়। আমরা এ আন্দোলনে যারা উপস্থিত হয়েছি আগামীতে সবাই হাদি হয়ে বাঁচতে চাই।

আগামী তিনদিনের মধ্যে হত্যা মালার চার্জশিট ও ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার কাজ সম্পন্ন করতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তারা।

এ সময় ইনকিলাব মঞ্চ কুমিল্লার আহ্বায়ক গোলাম মুহা. সামদানি, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আহ্বায়ক হান্নান রহিম, যুগ্ম-আহ্বায়ক ফারুক আল নাহিয়ান, এনপির কুমিল্লা মহানগরের যুগ্ম-আহ্বায়ক ইঞ্জি. মো. রাশেদুল হাসানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে জুমার নামাজ শেষে রিকশা দিয়ে ফেরার পথে রাজধানীর বিজয়নগরে গুলিবিদ্ধ হন শরীফ ওসমান হাদি। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ১৫ ডিসেম্বর তাকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৮ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

জাহিদ পাটোয়ারী/আরএইচ/এমএস