ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

শিশু সাজিদের মৃত্যু

রাজশাহীতে আরও ৩৯ বিপজ্জনক বোরহোল শনাক্ত

জেলা প্রতিনিধি | রাজশাহী | প্রকাশিত: ০৭:১৪ পিএম, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫

রাজশাহীর তানোরে পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের গর্তে পড়ে দুই বছর বয়সী শিশু সাজিদের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। জেলাজুড়ে চালানো বিশেষ অনুসন্ধানে আরও ৩৯টি খোলা ও পরিত্যক্ত বোরহোল (গভীর গর্ত) শনাক্ত করা হয়েছে, যা জননিরাপত্তার জন্য চরম ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করেছে জেলা প্রশাসন।

বিভাগীয় প্রশাসনের নির্দেশে আট জেলার জেলা প্রশাসকদের পাঠানো প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, রাজশাহী বিভাগে ৬৭টি উপজেলার ৫৬৬টি ইউনিয়ন আছে। এরমধ্যে ৪৩৫টি ইউনিয়ন গভীর নলকূপের আওতায় রয়েছে। এসব ইউনিয়নে ১১ হাজার ৩৭১টি গভীর নলকূপ রয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র রাজশাহী জেলাতেই আছে ৬১৭টি গভীর নলকূপ।

এছাড়াও নাটোরে ৩১৩টি, নওগাঁয় ৪ হাজার ৬৩৪টি, চাঁপাইনবাবগঞ্জে আছে ১ হাজার ৬১২টি, পাবনায় ২১৫টি, সিরাজগঞ্জে ৬২৩টি, বগুড়ায় ২ হাজার ৪৬৯টি ও জয়পুরহাটে আছে ৮৮৫টি। তবে রাজশাহীর ৩৯টি ব্যতিত কোথাও কোনো পরিত্যক্ত বোরিং শনাক্ত হয়নি। স্থাপিত ও পরিত্যক্ত গভীর নলকূপ এবং টেস্ট বোরহোলের তথ্য যাচাই করে এই সংখ্যা পাওয়া যায়।

এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর তানোর উপজেলায় একটি পরিত্যক্ত টেস্ট বোরহোলে পড়ে দুই বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়। মর্মান্তিক ওই ঘটনার দুই দিন পরই বিভাগীয় প্রশাসন তদন্ত ও প্রতিবেদন চায়।

স্থানীয়রা জানান, সেচের পানির সন্ধানে গত বছর বেসরকারিভাবে একাধিক টেস্ট বোর খনন করা হয়েছিল। ব্যর্থ হওয়ার পর অনেক বোরহোল সঠিকভাবে বন্ধ না করে মাটি ও খড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। এসব বোরহোল বাইরে থেকে বোঝা না যাওয়ায় বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করেছে।

প্রশাসনের তথ্যমতে, শনাক্ত ৩৯টি বোরহোল বসতবাড়ি এলাকায় রয়েছে। কিছু বোরহোল কৃষিজমিতে এবং শিশু ও পথচারীদের চলাচলকারী পথের পাশে অবস্থিত। বেশিরভাগ বোরহোল সেচ ও ভূগর্ভস্থ পানির পরীক্ষা কাজে খনন করা হয়েছিল। পরবর্তীতে সেগুলো পরিত্যক্ত হলেও নিরাপদভাবে সিল করা হয়নি।

রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. রেজাউল আলম সরকার বলেন, সব খোলা বোরহোল দ্রুত সিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে সব পরিত্যক্ত গভীর নলকূপে বন্ধ করা হয়েছে বলে রাজশাহী জেলা প্রশাসন আমাদের জানিয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে কঠোর নজরদারি করা হবে বলেও জানান তিনি।

সাখাওয়াত হোসেন/কেএইচকে/এএসএম