ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

রাঙামাটি শহরে কারফিউ জারি

প্রকাশিত: ০২:৫৯ পিএম, ১১ জানুয়ারি ২০১৫

রাঙামাটি শহরে ১৪৪ ধারার মধ্যেও বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ি-বাঙালী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এসব ঘটনায় অন্তত ২০জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

রোববার বিকেলে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা বৈঠক চলাকালিন সময়ে হঠাৎ শহরের বনরূপায় পাহাড়ি-বাঙালী সংঘর্ষ শুরু হয়। রাত সাড়ে সাতটার দিকে উত্তেজিত জনতা পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ভাঙচুর করে।

এ ঘটনার পর শহরে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করেছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন।

জানা যায়, শহরের সমতাঘাট এলাকায় এক বাঙালী ক্ষুদ্র মাছ ব্যবসায়ীকে মারধর করে পাহাড়ি যুবকরা। এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানাতে গেলে অন্যান্য বাঙালী দোকনদারের উপরও চড়াও হয় তারা। এরপর মুহুর্তেই সমতাঘাট এলাকার কাঁচাবাজার থেকে পাহাড়ি যুবকরা আসে বনরূপার দিকে। পরে লোকজন দোকানপাট বন্ধ করে জড়ো হতে থাকে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পাহাড়ি যুবকরা সমতাঘাট এলাকার বিভিন্ন বিল্ডিং থেকে গুলতি, পাথর ও তীর ছুঁড়তে থাকে। এসময় বাঙালীরা জড়ো হয়ে ধাওয়া দিলে পিছু হটে পাহাড়িরা। পরে পুলিশ এসে টিয়ার শেল ছোঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সন্ধ্যায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শহরের রাঙাপানি, ভেদভেদি, মুসলিমপাড়া, বনরূপাসহ বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ি-বাঙালী সংঘর্ষ চলতে থাকে।

পাহাড়িরা ভেদভেদি এলাকার প্রাথমিক স্কুলের সামনে তিনটি বাঙালী দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয়। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এই সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় শহরে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। জেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শহরে ১৪৪ ধারা বলবৎ করে মাইকিং করা হচ্ছে।

রাঙামাটির ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ জানান, শহরে ১৪৪ধারা বলবৎ থাকাবস্থায় পাহাড়ি-বাঙালী সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী মোতায়েন ও সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।

উল্লেখ্য, শনিবার রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের ক্লাশ উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে সন্তু লারমা সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও মেডিকেল সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। আর এই ঘটনার পর শহরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ধারা জারি করে প্রশাসন।