ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

শ্রীপুরের সাহাপাড়া সড়কের বেহাল দশা

জেলা প্রতিনিধি | মাগুরা | প্রকাশিত: ১১:৫৬ এএম, ০৮ আগস্ট ২০১৬

মাগুরা জেলার শ্রীপুর সাহাপাড়া নতুন বাজারের সড়কটির দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে মৃত্যুকুপে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন এ সড়কে কোনো না কোনো দুর্ঘটনা ঘটছে। সংস্কার না হওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে সড়কটি। ফলে জনদুর্ভোগের পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এতে স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রী, ও সরকারি কর্মকর্তাসহ সাধারণ মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।

পাশাপাশি পণ্যবাহী গাড়িগুলো ক্ষতিগ্রস্ত সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। মুমূর্ষু রোগীদের জরুরি চিকিত্সার জন্য জেলা শহরসহ ফরিদপুর ও ঢাকাতে নিয়ে যাওয়ার সময় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।

Magura

সরেজমিনে দেখা যায়, শ্রীপুর সাহাপাড়া নতুন বাজার সড়ক প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্যে মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে। সড়কটির ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অধিক মালবোঝাই ট্রাক প্রতিনিয়ত চলাচল করায় সরকারি সম্পদ নষ্ট হয়ে গেছে।

ক্ষতিগ্রস্ত ভ্যানচালক যুবায়ের রহমান জাগো নিউজকে জানান, বড় বড় ব্যবসায়ীরা ভারী ট্রাক চালানোর পাশাপাশি ১২ ফিটের সড়কের উপর ১০ চাকার ট্রাক রেখে মালামালা উঠা-নামা করায়।

Magura

ফলে রিকশা, ভ্যান, মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহন ওই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে পারে না। বিশেষ করে হাটেরদিন রোবাবার ও বৃহস্পতিবার মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠে। যানজট তৈরিসহ প্রায় দুর্ঘটনা ঘটে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক কর্মচারী জাগো নিউজকে জানান, আইনের তোয়াক্কা না করে সড়কের দুই ধারে গুদাম ঘর তৈরি করে ব্যাবসা-বাণিজ্য করা হচ্ছে।  আবাসিক এলাকার মধ্যে বিপুল পরিমাণ গ্যাস গুদামজাত করায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।

Magura

সাহাপাড়ার বাসিন্দা ইন্দীরা রানী জাগো নিউজকে বলেন, বর্ষার সময় সড়কের উপর মাছ চাষ করেন ব্যবসায়ীরা। ভারী ট্রাকগুলো মাছ ধরার কাজে ব্যবহার করেন তারা। রাষ্ট্র অথবা জনগণ নয় নিজের স্বার্থ উদ্ধার করতেই ব্যস্ত থাকেন ব্যবসায়ীরা।  

এসব ব্যবসায়ীর গুদাম ঘর অন্যত্র স্থানান্তর করে ও সড়কটি সংস্কার করা হলে দুর্ভোগ কমবে বলে আশা প্রকাশ করেন এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে মাগুরার সহকারী কমিশনার দীপক কুমার দেব শর্মা জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টি অবশ্যই আমলে নেবে জেলা প্রশাসন।

তবে মাগুরা জেলা ট্রাফিক পুলিশের টিআই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

মো. আরাফাত হোসেন/এএম/এবিএস