ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

চুরি ডাকাতি ছিনতাই আতঙ্কে কাশিনাথপুরবাসী

প্রকাশিত: ০৫:৫৬ এএম, ১১ আগস্ট ২০১৬

বিদ্যুৎ বিভ্রাট চরমে উঠায় মাগুরা সদর উপজেলার কাঁশিনাথপুর (চারাবটতলা) গ্রামের প্রায় ২ হাজার পরিবারের ৭ হাজার নারী-পুরুষ চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।

এদিকে, দৌলদিয়া-পাটুরিয়া ফেরিঘাট বন্ধ থাকায় দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ ভারী গাড়ি, নৈশ্য কোচসহ বিভিন্ন যানবাহন কাঁশিনাথপুর গ্রামের উপর দিয়ে রাজধানী ঢাকায় যাওয়া আসা করছে। কিন্তু ঝড় বৃষ্টি ও রাস্তায় বিদ্যুৎ না থাকায় এসব গাড়ির চালক ও যাত্রীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, রোববার গৌরিচরণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিনের মরদেহ এ রাস্তা থেকে পুলিশ উদ্ধার করার পর গ্রামবাসীর মধ্যে ব্যাপকভাবে আতঙ্ক দানা বেধেছে। এছাড়া এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত টানা ৪১ ঘণ্টা ওই গ্রাম বিদ্যুৎ বিছিন্ন রয়েছে বলে জানা গেছে।

কাঁশিনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা মিন্টু মোল্যা জাগো নিউজকে জানান, সামান্য ঝড়, বৃষ্টিতেই গ্রামের বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন হয়ে যায়। রাস্তার দু’ধারের গাছ-গাছালির ডালপালা একটু বাতাসেই বিদ্যুতে তারের উপর এসে পড়ে। কিন্তু স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগ প্রয়োজনীয় কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করে না। প্রতি বছর এ সময় বিদ্যুৎ বিছিন্ন থাকায় গ্রামের অভ্যন্তরে ও মাগুরা-ঝিনাইদহ সড়কে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই কয়েকগুণ বেড়ে যায়।

ব্যবসায়ী ইকবাল হোসেন জাগো নিউজকে জানান, স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগের অবহেলা ও গাফলতির কারণে সরকারের সাফল্যের ছোঁয়া পৌঁছাতে পারে না কাঁশিনাথপুর গ্রামে।

তিনি বিদ্যুৎ বিভাগে কর্মরত সকল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ব্যবহারে আক্ষেপ প্রকাশ করেন বলেন, বিষয়টি লিখিতভাবে জানানোর পরও তিনি কাঁশিনাথপুর গ্রামের বিষয়টি আমলে না নিয়ে শুধু হচ্ছে হবে বলে কাটিয়ে দিচ্ছেন বছরের পর বছর।

তিনি আরো জানান, বিষয়টি স্থানীয় জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনসহ জাগো নিউজের মাগুরা প্রতিনিধিকে অবহিত করা হলে কিছু দিন আগে তাদের একান্ত প্রচেষ্টায় গ্রামটিতে পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়। কিন্তু বর্তমানে বিদ্যুৎ বিভ্রাট আবার আগের অবস্থায় ফিরে গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ (ওজোপাডিকো) অফিসের কর্মচারী জাগো নিউজকে বলেন, আবাসিক এলাকায় গ্রাহক সমস্যা নিরসনে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন পকল্প চালু রয়েছে। তার মধ্যে সার্ভিস লুজ কানেকশন নিরসনে দূরত্ব ভেদে ১ ঘণ্টা, সার্ভিস তার ছিঁড়ে পড়া/পরিবর্তনে ২ ঘণ্টা, এলটি কন্ডাক্টর পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে ১২ ঘণ্টা, এলটি জাম্পারের তার এবং ফিটিংস প্রয়োজন না হলে ২ ঘণ্টা।

তবে জাম্পার/ফিটিংস প্রয়োজন হলে সর্বোচ্চ ১২ ঘণ্টা, ট্রান্সফরমার ফিউজ (ডিওএফ) কেটে গেলে ২ ঘণ্টা তবে ডিওএফ ও ফিটিংস পরিবর্তন করতে হলে ১২ ঘণ্টা, লাইটনিং এরেস্টার নষ্ট/পরিবর্তনে গুদাম হতে মালামাল সংগ্রহসহ ১২ ঘণ্টা, ট্রান্সফরমার বুশ/এরটি ক্যাবল/অন্যান্য ফিটিংস নষ্ট হলে ২৪ ঘণ্টা, ট্রান্সফরমার অয়েল লেভেল কমে গেলে ৬ ঘণ্টা, ট্রান্সফরমার মেরামত বা পরিবর্তনে প্রয়োজন হলে ২৪ ঘণ্টা। এছাড়া এলটি লাইনে গাছপালা পড়ে বন্ধ হলে ৩ ঘণ্টার মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপনের নিদের্শ দেয়া থাকলেও অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিভিন্ন জটিলতার কথা শুনিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে থাকেন।

এ বিষয়ে মাগুরা বিদ্যুৎ সরবরাহ (ওজোপাডিকো) এর আবাসিক প্রকৌশলী (নির্বাহী প্রকৌশলী) বিমল কান্তি দাস জাগো নিউজকে জানান, ঝড় বৃষ্টিতে ওই এলাকায় বিদুতের তারে একটি বড় গাছ পড়ে গেছে। যে গাছটি কেটে অপসারণ করতে তাদের সময় লাগছে।

আরাফাত হোসেন/এসএস/আরআইপি