ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

কাতার যাওয়া হলো না রাশেদের

প্রকাশিত: ১২:৪১ পিএম, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

কক্সবাজারের চকরিয়ার নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান রাশেদুল ইসলাম বাদশা। দুই বছর আগে বিয়ে করেন। পরিবারের খরচ চালাতে বেশি রোজগারের আশায় কাতার যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এজন্য কাতার যাওয়ার সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেন তিনি। কিন্তু, কাতার আর যাওয়া হলো না রাশেদের। দুর্বৃত্তদের ছোড়া পেট্রলবোমা হামলায় দগ্ধ হয়ে বুধবার বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

সোমবার গভীর রাত ৩টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের মিয়ারবাজারে ছুড়ে মারা পেট্রলবোমায় অগ্নিদগ্ধদের মধ্যে রাশেদুল ইসলাম বাদশা (২৬) ছিলেন।

পরে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে ভর্তি করানো হয় তাকে। সেখানে বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক পার্থ শঙ্কর পার্ল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দগ্ধ রাশেদুলের শরীরের ৮০ শতাংশ বার্ন ছিল।

রাশেদের চাচা সামছুল আলম জানান, গত ২ ফেব্রুয়ারি রাতে কক্সবাজারে গাড়ীতে ওঠেন ঢাকা আসার জন্য। ঢাকা থেকে রাশেদ বিমানবন্দর হয়ে বুধবার সন্ধ্যায় কাতার যাওয়ার কথা ছিল। রাশেদকে এগিয়ে দেওয়ার জন্যই তিনিও গাড়িতে উঠেছিলেন।

৩ ফেব্রুয়ারি ভোররাতের দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আইকন পরিবহনের বাসটি পেট্রলবোমা হামলার শিকার হন। ওই ঘটনায় ঘটনাস্থলে ৭জন নিহত হন। বাকীদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়।

তিনি জানান, রাশেদের বাড়ি কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলায়। তিনি দুই বছর আগে বিয়ে করেন। পরিবারে তার স্ত্রীসহ এক বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

এক ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন বড়। তার আয়েই পরিবারের সকলের সংসার চলত। কাতার যেতে রওয়ানা হয়ে রাশেদ চলে গেলেন পরপারে। নিহতদের কাতারে সামিল হলেন রাশেদ।

রাশেদের চাচা সামছুল আলম বলেন, ভেবেছিলাম ছেলেটা কাতারে গিয়ে টাকা পাঠাবে। পরিবারে স্বচ্ছলতা ফিরবে। কিন্তু এখন আমাদের কি হবে, কিভাবে রাশেদের পরিবারকে সান্তনা দিবো। কিভাবেই বা পরিবারটি চালবো জানি না।

ঢামেক হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার সকালে ১০ জন অগ্নিদগ্ধের মধ্যে ৬ জনকে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। বাকীদের ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।


জেইউ/এমএএস/আরআই