ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

জীবিত মাকে মৃত দেখিয়ে থানায় মামলা

প্রকাশিত: ০৩:০৩ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০১৬

প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে জীবিত মাকে হাসপাতালের বেডে রেখে থানায় মামলা করেছে এক ছেলে। নরসিংদীর ওমর ফারুক নামে ওই ব্যক্তি তার মাকে হত্যা করা হয়েছে বলে এ মামলা করেন। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।

এদিকে বিনা তদন্তে মামলাটি গ্রহণ করেছেন নরসিংদী সদর মডেল থানা পুলিমের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নরসিংদী সদর উপজেলার দক্ষিণ শিলমান্দী গ্রামে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নরসিংদী সদর উপজেলার দক্ষিণ শিলমান্দী গ্রামের জাকির হোসেন ও ওমর ফারুক গংদের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল।

এ নিয়ে গত ৯ ডিসেম্বর সকালে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। পরে দুপুর ১২টার দিকে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় গ্রুপের লোকজন আহত হয়। এ ঘটনায় ওমর ফারুকের মা মমতাজ বেগমও (৫০) আহত হন। গুরুতর আহতাবস্থায় প্রথমে তার মাকে নরসিংদী সদর হাসপাতাল ও পরে ঢাকার এ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে ওমর ফারুক নগদ নারায়ণের প্রভাবে নরসিংদী সদর মডেল থানায় ছানাউল্লাহ নামে স্থানীয় এক দালালের মাধ্যমে তার মাকে হত্যা করা হয়েছে বলে মামলা করেন।

নরসিংদী সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একই দিন রাতে বিনা তদন্তে এটিকে হত্যা মামলা হিসেবে রুজু করেন। (মামলা নং ১৫ (১২) ২০১৬।)

মামলা তদন্তের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদেরকে জানান, যাকে মৃত বলে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল সেই মমতাজ বেগম বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন।

প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার উদ্দেশ্যে মমতাজ বেগমের ছেলে ওমর ফারুক সরকার স্থানীয় দালাল সানাউল্লাহর মাধ্যমে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ভুল বুঝিয়ে মামলা করেন।

এ ব্যাপারে নরসিংদী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি দেখতে যাননি তবে তদন্ত না করেও মামলা নেয়ার সুযোগ আছে বলে জানান তিনি।

এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হওয়ায় একজন তদন্তকারী এসআইকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন,  মমতাজ বেগম জীবিত। এ ব্যাপারে যে কেউ মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করলে তার বিরুদ্ধে ২১১ ধারায় মামলা করা হবে বলে তিনি জানান।

নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) হাসিবুল ইসলাম সাংবাদিকদেরকে বলেন, মিথ্যা মামলা রুজুর বিষয়টি আমি শুনেছি। তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মিথ্যা মামলা রুজুর সঙ্গে জড়িতদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।

সঞ্জিত সাহা/এএম