ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

বদলগাছীতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৯:৩৩ এএম, ০৭ জানুয়ারি ২০১৭

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বিষপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অনিয়মের বিরুদ্ধে সহকারী শিক্ষক ও দাতা সদস্য জেলা প্রাথমিক শিক্ষা ও উপজেলা শিক্ষা অফিস এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অশিক্ষিত, অদক্ষ ব্যক্তি আব্দুল মালেককে বিদ্যুৎসাহী করা হয়েছে। গত একমাস আগে সকাল ৯টার দিকে সকল শিক্ষক বিদ্যালয়ে আসার সময়  অকারণে বিদ্যুৎসাহীর স্ত্রী শিক্ষকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। ২০১২/১৩ অর্থ বছরে স্কুলে নতুন ভবন হওয়ার পর সরকার থেকে ১৭টি সিলিং ফ্যানসহ কিছু বাল্ব দেয়া হয়। এর মধ্যে ১টি ফ্যান প্রধান শিক্ষক তার বাড়িতে ব্যবহার করছেন। ফলে প্রতিমাসে রিটার্ন ফরমে ১টি ফ্যানের তথ্য কম দেয়া হয়। এমনকি বিদ্যালয়ে এ পর্যন্ত কোনো প্রকার ম্যানেজিং কমিটির সভা করা হয়নি।

এছাড়া উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে দেওয়া স্লিপের টাকা কোনো প্রকার মিটিং না করে নিজের ইচ্ছেমত বিদ্যালয়ে সামান্য কিছু কাজ করে মনগড়াভাবে ভাউচার তৈরি করে বাকি টাকা আত্মসাৎ করা। গত চার বছর থেকে তিনি এ অনিয়ম করে আসছেন। বিদ্যালয়ে অদ্যবধি ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্বুদ্ধকরণে কোনো প্রকার মা সমাবেশ এমনকি বনভোজন করা হয়নি। গত ২০০৪ সালে উক্ত বিদ্যালয়ের নামে দুইজন দাতা সাড়ে ১৬ শতাংশ জমি দান করলেও এ পর্যন্ত দখলে নেয়া হয়নি।

শিক্ষক সালেহা খানম, মৌসুমি আক্তার, রেশমা আক্তার ও মুনজু আরা অভিযোগ করে বলেন, সরকার থেকে পাওয়া অর্থ নতুন ভবনে খরচ করার মতো জায়গা নেই। ক্লাশ রুমে ছবি সজ্জিতকরণ, নলকূপের গোড়া বাঁধাই, ছোট একটি হাউজ এবং শিক্ষার্থীদের জন্য ছোট একটা প্রসাব খানা করা হয়েছে। আর বাকি টাকা প্রধান শিক্ষক আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়া শিক্ষকদের সাথে খারাপ আচরণ করে থাকেন প্রধান শিক্ষক।

অভিযোগকারী দাতা সদস্য সেকোয়ার হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ে এখন পর্যন্ত বিদ্যুতের কোনো সংযোগ দেয়া হয়নি। অথচ ১৭টি ফ্যানের মধ্যে ১৪টি সিলিং ফ্যান ভালো ও দুইটি ফ্যান অকেজো বলে রিটার্ন ফরমে দাখিল করা হয়। আর একটি ফ্যান প্রধান শিক্ষক তার বাড়িতে ব্যবহার করায় রিটার্ন ফরমে দাখিল করা হয় না।

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক মুক্তার হোসেন বলেন, গত বছরের আগস্ট মাসে দলীয় নির্দেশানুযায়ী ম্যানেজিং কমিটি করা হয়েছে। ২০১২/১৩ অর্থ বছরে স্কুলে নতুন ভবন স্থাপিত হলেও ২০১৪ সাল থেকে স্লিপের টাকা পাওয়া শুরু করেছেন। স্লিপের ২০১৪ সালে ৩০ হাজার টাকা, ২০১৫ সালে ৪০ হাজার এবং ক্ষুদ্র মেরামতে ১০ হাজার টাকা পেয়েছেন। আর এ টাকা উপজেলা শিক্ষা অফিস ও ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদিত প্ল্যান অনুযায়ী করা হয়েছে। আর এ মুহূর্তে তার হিসেব দেয়া সম্ভব না। তবে কিছু ব্যক্তি তাদের স্বার্থ হাসিলে ব্যাঘাত ঘটায় এবং হয়রানি করার জন্য এ অভিযোগ করছেন।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ছানাউল হাবিব বলেন, এ ধরনের অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে এক সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করে তদন্ত শুরু হয়েছে।

আব্বাস আলী/আরএআর/জেআইএম