ছয় দিনেও সন্ধান মেলেনি ছাত্রদল কর্মী মিরাজুলের
গত মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) রাত ৮টার ঝিনাইদহ শহরের কাঞ্চননগর পাড়ার একটি ছাত্রাবাস থেকে চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় ছাত্রদল কর্মী মিরাজুলকে। জানা যায়, সাদা পোশাকের অস্ত্রধারীরা ছাত্রদলকর্মী মিরাজুলকে তুলে নিয়ে যায়।
সেই থেকে নিখোঁজ রয়েছেন মিরাজুল। পবিত্র শবে মেরাজের দিন জন্মেছিলেন বলে একমাত্র সন্তানের নাম রেখেছেন মিরাজুল ইসলাম। সেই বুকের ধন আজ ছয় দিন ধরে নিখোঁজ। আমার ছেলেকে যারাই ধরে নিয়ে যাক, ফকির আর গরীবের ছেলেকে মেরে লাভ কি ? আমি ছেলের জন্য কার কাছে যাব ? কে আমার বুকের ধনকে ফিরিয়ে দিবে ? এমন হাজারো প্রশ্ন করে নিজেকে শান্তনা দেবার চেষ্টা করছেন ছাত্রদল কর্মী মিরাজুল ইসলামের মা বুলবুলি খাতুন ও বৃদ্ধ পিতা জোনাব আলী।
ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে দেওয়া এক লিখিত আবেদনে মিরাজুলের বাবা-মা উল্লেখ করেন, আমাদের ছেলে মিরাজুল ছাত্রদলের রাজনীতি করতো। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এর আগেও মিরাজুলকে একবার পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। ১৭ দিন তার কোন খোঁজ ছিল না। পুলিশ বা ডিবি সবাই অস্বীকার করেছিল। ১৭ দিন পর অস্ত্র মামলায় আটক দেখিয়ে মিরাজুলকে আদালতে সোপর্দ করে।
সেই ঘটনার সঙ্গে বর্তমান নিখোঁজ হওয়ার মিল থাকায় মিরাজুলের বাবা-মা`র সন্দেহ হয়তো আইনশৃংখলা বাহিনীর লোকজনই মিরাজুলকে নিয়ে গেছে। তারা সরকার ও বিশেষ করে ঝিনাইদহের পুলিশ সুপারের কাছে মিরাজুলের প্রাণ ভিক্ষা চেয়েছেন।
উল্লেখ্য, মিরাজুল নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে আইনশৃংখলা বাহিনীর পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হচ্ছ।
এমজেড/আরআইপি