ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

মাদক ব্যবসায়ীদের গুলিতে আহত ব্যবসায়ীর মৃত্যু

প্রকাশিত: ০৩:১৩ পিএম, ২৯ জানুয়ারি ২০১৭

নরসিংদীতে মাদক ব্যবসায়ীদের গুলিতে প্রাণ গেল সুজন মিয়া (২৫) নামে এক ব্যবসায়ীর। চারদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।

শনিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় হাজিপুর ইউপি সদস্য রেখা বেগমকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছে।

তবে এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। চাপা ক্ষোভ দেখা দিয়েছে সুশীল সমাজের লোকজনের।

ইয়াবা বিক্রিতে বাধা দেয়ায় গত বুধবার রাতে  স্থানীয় ইয়াবা ব্যবসায়ীরা সুজনকে মোবাইল ফোনে ডেকে এনে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গুলি করে গুরুতর আহত করে। নিহত সুজন মিয়া সদর উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের দড়িপাড়া গ্রামের হানিফ মিয়ার ছেলে। তিনি হাজিপুর এলাকায় ইট-বালুর ব্যবসা করতেন।

পুলিশ ও নিহতের পরিবারের লোকজন জানায়, নিহত সুজন মিয়ার সঙ্গে হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা সদস্য রেখা বেগমের ছেলে কামাল, আবুল হোসেনের ছেলে ফয়সাল এবং দত্তপাড়া মহল্লার শিপলু নামে তিনজনের বন্ধুত্ব ছিল।

গেল ইউপি নির্বাচনে রেখা বেগম হাজিপুর ইউনিয়নে সদস্য নির্বাচিত হয়। এরপরে রেখা বেগম ও তার ছেলে কামাল ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। এলাকায় ইয়াবা বিক্রিতে বাধা দেন সুজন মিয়া।  

এ নিয়ে নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য ও তার ছেলের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জেরে গত বুধবার রাতে ব্যবসায়ী সুজন মিয়া ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে ইউপি সদস্যের ছেলে কামাল ও ফয়সাল মোবাইল ফোনে তাকে ডেকে নিয়ে আসেন।

এরপর কামাল, ফয়সাল ও শিপলুসহ ১২ থেকে ১৪ জনের এক দল সন্ত্রাসী তাকে দড়িপাড়া গ্রামের আবেদ আলীর বাড়ির পাশের রাস্তায় নিয়ে যায়। সেখানে সন্ত্রাসীরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত হয়। পরে মৃত্যু নিশ্চত করতে হামলাকারীরা তার বুকে গুলি করে।

এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

চারদিন আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে শনিবার সন্ধ্যায় সুজন মারা যায়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তার শরীরে ৪টি গুলি পাওয়া গেছে। একটি গুলি কলিজায় বিদ্ধ হয়। তাকে আইসিইউ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। শেষ পযন্ত তাকে বাঁচানো যায়নি।

নিহতের বড় ভাই ও মামলার বাদী সুমন মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, মাদকের প্রতিবাদ করায় তারা আমার ভাইকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আমরা হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।

নরসিংদী সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, নিহতের ভাই সুমন মিয়া বাদী হয়ে স্থানীয় হাজিপুর ইউপি সদস্য রেখা বেগমকে প্রধান আসামি করে আটজনের নাম উল্লেখ করেও অজ্ঞাত নামা আরো ছয়জনসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।  

সঞ্জিত সাহা/এএম/জেআইএম