ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

পিরোজপুরের পাড়েরহাটে সম্ভাবনাময় শুঁটকি পল্লী

প্রকাশিত: ০৪:১৬ এএম, ০১ এপ্রিল ২০১৫

পিরোজপুর জেলার কঁচা নদীর কোল ঘেঁষে গড়ে উঠা দক্ষিণাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ মৎস বন্দর হচ্ছে পাড়েরহাট মৎস বন্দর। আর এই বন্দরের কাছেই গড়ে উঠছে মাছ শুকানোর স্থান যা শুঁটকি পল্লী নামে পরিচিত।

বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ আহরণ করে অধিকাংশ জেলেরা ছুটে আসে পাড়েরহাট মৎস বন্দরে। আর এখান থেকেই বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ঢাকা, সৈয়দপুর, সিলেট, চট্টগ্রাম ও খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানো হয়। দেশে হিমায়িত মাছ ছাড়াও শুঁটকি মাছের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। তাই জেলেরা পাড়েরহাটের নদী তীরে মাছ শুকিয়ে শুঁটকি তৈরীর কাজ অনেক আগেই শুরু করেছে। তবে তা ব্যাপকভাবে ছিল না। শুঁটকি তৈরী লাভজনক হওয়ায় জেলেরা এখন দিন দিন শুটকি তৈরীর দিকে ঝুঁকছে।

জেলেরা জানায়, তারা সাগর থেকে আহরিত  লইট্যা, ছুরি, সাগর চিতল, হাঙ্গর, মধু ফ্যাশ্যা, ঢেলা, ফাইশ্যা ও রূপচাঁদাসহ ১৫ পদের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ কঁচা নদীর তীরে শুকিয়ে শুঁটকি তৈরী করে যেগুলো বাণিজ্যিকভাবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়।

পাড়েরহাট বন্দরের শুঁটকি ব্যবসায়ী আ. হাই কাজী জানালেন, এসব শুঁটকি বিভিন্ন দামে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়, যা থেকে তারা ভাল মুনাফা পায়। তবে এই ব্যবসার সম্প্রসারণ ও ব্যাপক বাজার তৈরী করতে সরকারিভাবে সহযোগিতা দাবি করেন ওই এলাকার ব্যবসায়ী ও জেলেরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সাগরের আহরিত এসব সাদা মাছ শুঁটকি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে সেখানে নিয়োজিত শুটকি ব্যবসায়ীরা।

বন্দরের এক শুঁটকি ব্যবসায়ী জানান, নদীর তীরের এই খোলা সরকারি জায়গাটি দীর্ঘদিন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকায় সেখানে তারা প্রাথমিকভাবে মাছ শুকানোর কাজ করেছে, যা শুঁটকি তৈরীর জন্য উপযুক্ত স্থান।

কঁচা নদীর তীরে সরকারি সহযোগীতায় শুটকি তৈরীর একটি উপযুক্ত স্থান হিসেবে গড়ে তোলা গেলে একদিকে ব্যবসায়ী ও জেলেরা অন্যদিকে সরকার লাভবান হবে দাবী সেখানকার জেলে ও ব্যবসায়ীদের।

এসএইচএ/এমএস