ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত: ০২:০৪ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

নরসিংদী জেলা পরিষদ উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার বিকেলে জেলা আইনজীবী সমিতিতে এ ঘটনা ঘটে। এই ব্যাপারে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছে ভোক্তভোগী প্রার্থীরা।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন ভূঞা ও রায়পুরা পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলম শাহীন।

বেলা ১টার দিকে জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন ভূঞা দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আসেন।

তারা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাসের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

পরবর্তীতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জেলা নির্বাচন অফিস ও জেলা আইনজীবী সমিতিতে কিছু বহিরাগত লোকের আনাগোনা বাড়ে। বেলা ৩টার দিকে জেলা আইনজীবী সমিতিতে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জুবায়ের আহমেদ জুয়েল ও রায়পুরা পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলম শাহীনের মনোনয়নপত্র ছিনতাই করে দুর্বৃত্তরা।

বিষয়টি মাহবুব আলম শাহীন রিটার্নিং কর্মকর্তার নজরে আনলে পুনরায় তিনি মনোনয়ন পত্রের ফরম দিয়ে তা নির্দিষ্ট সময়ে জমা দিতে বলেন। শাহীন দ্রুত মনোনয়নপত্র পূরণ করে ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সংগ্রহ করে বেলা পৌনে ৫টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাসের কাছে জমা দেন।

এ ব্যাপারে খাইরুল ইসলাম রনি নামে এক ব্যক্তি জুবায়ের আহমেদ জুয়েলের মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নেয়ার বিষয়টি লিখিতভাবে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানান।

তিনি জানান, মনোনয়নপত্র দাখিলের প্রস্তুতিকালে কিছু সন্ত্রাসী কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। এতে জুবায়ের আহমেদ জুয়েল প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা থাকলেও সম্ভব হচ্ছে না। বিষয়টি বিবেচনা নিয়ে তিনি মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় বৃদ্ধির দাবি জানান।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রায়পুরা পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলম শাহীন সাংবাদিকদের বলেন, জেলা আইনজীবী সমিতির দুতলায় আইনজীবীর মাধ্যমে মনোনয়ন পূরণ শেষ করলে কিছু লোক এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। সেই সঙ্গে মেরে ফেলার জন্য হুমকি-ধামকি দেন।

তারা মোবাইলে মেয়রকে (নরসিংদী পৌরসভার মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুজ্জামান কামরুল) ও মতিন ভূঞার (আওয়ামী লীগের প্রার্থী) সঙ্গে কথা বলিয়ে দেন। তারা দুজনেই আমাকে প্রার্থী হতে বারণ করেন।

জবাবে আমি মনোনয়নপত্র দাখিলের সুযোগ চাই। ওই সময় ওদের লোকজন আইনজীবীর কাছ থেকে মনোনয়নপত্রের সকল কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। পরে বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানালে তিনি বিশেষ ব্যবস্থায় একটি ফরম দিলে আমি তা দ্রুত পূরণ করে জমা দিয়েছি।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, নির্ধারিত সময়ে দুই জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আগামীকাল মঙ্গলবার তাদের মনোনয়ন যাচাই-বাছাই করা হবে। প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখনো আমি এই সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ পাইনি।

সঞ্জিত সাহা/এএম/পিআর