ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

পাহাড়ে বৈসাবি উৎসব শুরু

প্রকাশিত: ০৮:৩৯ এএম, ১২ এপ্রিল ২০১৫

বাংলা পুরাতন বর্ষকে বিদায় ও নববর্ষকে বরণ করতে পাহাড়ের আদিবাসীরা মেতে উঠেছে ঐতিহ্যবাহী বৈসাবি উৎসবে। রোববার থেকে শুরু হচ্ছে পাহাড়ি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী চাকমাদের বিজু, মারমাদের সাংগ্রাই, ত্রিপুরাদের বৈসুক উৎসব। যার সমন্বিত নাম বৈসাবি উৎসব।

চৈত্র সংক্রান্তির শেষ দুইদিন ও বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন চলে এ উৎসব। এই উৎসবকে ঘিরে পাড়ায় পাড়ায় শুরু হয়েছে নানা ধরনের ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা।

খাগড়াছড়ির বিভিন্ন নদীতে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে জেলায় বৈসাবি উৎসবের প্রথম দিনের অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়। সামাজিক রীতি অনুযায়ী ঐতিহ্যবাহী পোষাকে পাহাড়ি মেয়েরা গঙ্গাদেবীর উদ্দেশ্যে নদীর জলে ফুল ভাসান। সকালে চেঙ্গীতে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

উৎসবের প্রথম দিনে চাকমা, ত্রিপুরা ও মারমারা ফুল দিয়ে ঘর সাজান। ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের ছেলে-মেয়েরা বয়স্কদের স্নান করিয়ে বস্ত্রদান করে আর্শীবাদ কামনা করেন। বৈসাবি উৎসবের দ্বিতীয় দিনে চাকমা ও ত্রিপুরা গোষ্ঠী ঘরে ঘরে রান্না করেন ঐতিহ্যবাহী পাঁচন। অতিথিদের এই পাঁচনসহ নানা উপাদেয় খাবার দিয়ে তারা আপ্যায়ন করেন।

মূলত তিন সম্প্রদায়ের বাৎসরিক প্রধান উৎসবের নামের প্রথম অক্ষর নিয়ে ‘বৈসাবি নামের সৃষ্টি হয়েছে। বৈ-তে ত্রিপুরাদের বৈসু, সা-তে মারমাদের সাংগ্রাই আর বি-তে চাকমা সম্প্রদায়ের বিজুকে বোঝানো হয়েছে। প্রতিবছর বাংলা নববর্ষের পাশাপাশি পাহাড়ে বসবাসরত বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠী ঐতিহ্যবাহী এ দিনটি পালন করে থাকেন।

১২ এপ্রিল থেকে ত্রিপুরা সম্প্রদায় হারি বৈসুক এবং ১৩ এপ্রিল বিছিকাতাল, চাকমা সম্প্রদায়ের ১২ এপ্রিল ফুল বিজু ও  ১৩ এপ্রিল মূল বিজু, এবং পরদিন গজ্জাপজ্জা উৎসব পালন করেন।

মারমা সম্প্রদায় ১৪ এপ্রিল থেকে সাংগ্রাই, পরবর্তীতে আক্যে, আতাদা নামে উৎসব পালন করবে।

খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউটের পরিচালক জানান, বৈসাবিকে কেন্দ্র করে তিন পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান উৎসবের নগরীতে রূপ নেয়। পাহাড়ি পল্লীতে আদিবাসী সম্প্রদায় আয়োজন করে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।  

এমজেড/ এমএএস/পিআর