সংস্কার করা হচ্ছে ফাটল ধরা সেই সেতু
সংস্কার করা হচ্ছে চিত্রা সেতুর পাটাতন। গত বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) জগো নিউজে ‘উদ্বোধনের আগেই চিত্রা নদীর সেতুতে ফাটল ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপরই এলজিইডির তত্ত্বাবধানে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শুক্রবার বিকেলে সংস্কারের কাজ শুরু করে। এতে জনসাধারণের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসলেও নির্মাণ কাজ নিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, যানচলাচলসহ জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করার পাঁচ দিনের মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ফাটল সৃষ্টি হয় নবনির্মিত চিত্রা সেতুতে। পশ্চিম প্রান্তে সেতুর মূল পাটাতনে ফাটল দেখা দেয়। এর আগে গত ২৬ মার্চ যানচলাচলসহ জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হয় নড়াইলবাসীর স্বপ্নের চিত্রা সেতু। নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক মাস আগে দ্বিতীয় চিত্রা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়।
পরবর্তীতে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী চিত্রা সেতুর উদ্বোধন করবেন বলে জানান জেলা প্রশাসক হেলাল মাহমুদ শরীফ। প্রধানমন্ত্রীর ছোটভাই শেখ রাসেলের নামে সেতুটির নামকরণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এদিকে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে নড়াইল শহরের সাবেক ফেরিঘাট এলাকায় ২৮ কোটি ২০ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মিত হয়েছে। আগামী ৩০ এপ্রিল চিত্রা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ২৬ মার্চ সেতুটি উন্মুক্ত করা হয়।
সেতুটি চালুর ফলে নড়াইল শহরের সঙ্গে লোহাগড়া ও কালিয়া উপজেলাবাসী এবং প্রতিবেশী জেলা গোপালগঞ্জ ও যশোরসহ ঢাকার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হলেও হঠাৎ করে ফাটল দেখা দেয়ায় জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়।
ফাটল প্রসঙ্গে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে এলজিইডি নড়াইলের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু ছায়েদ জানিয়েছিলেন, সেতুর উপরিভাগের এ ফাটল তেমন কিছু নয়। এটি মূল ঢালাইয়ের ফাটল নয়।
নির্মাণ শ্রমিকসহ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা দাবি করে বলেন, উপরিভাগে ফাটল দেখা গেলেও মূল ঢালাইয়ে কোনো সমস্যা হয়নি।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। তবে নির্ধারিত সময়ের আগে ২৬ মার্চ যানবাহন চলাচলের জন্য সেতুটি উন্মুক্ত হয়েছে। সেতুর মূল দৈর্ঘ্য ১৪০ মিটার। এর বাইরে দুই পাশে ফ্লাইওভারের মতো দেখতে ভায়াডাক্টের দৈর্ঘ্য ২৩৭ দশমিক ৫০ মিটার। সেতুর প্রস্থ ৫ দশমিক ৪৬ মিটার বা ১৮ ফুট।ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এমবিইএল-ইউডিসি (জেভি) সেতুটি নির্মাণ করেছে।
হাফিজুল নিলু/এফএ/এমএস