আশুলিয়ার ব্যাংকগুলো এখনো আতঙ্কে
আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের কাঠগড়া শাখা। দুপুর ১২টা পর্যন্ত গ্রাহক শুন্য আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের ব্যস্ততম এই ব্যাংকটি। অথচ এই সময়ে গ্রাহকদের আনাগোণায় মুখর থাকতো পুরো ব্যাংক।
কর্মকর্তা কর্মচারীদের মনেও অজানা আতঙ্ক। প্রতিদিনের মতো আজ উন্মুক্ত নেই প্রধান ফটক। বন্দুক হাতে সজাগ নিরাপত্তাকর্মীরাও।
কথা হয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপক খন্দকার মনিরুল হকের সঙ্গে। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে স্থানীয় পুলিশকে চিঠি লিখছিলেন তিনি। 
তিনি বলেন, শিল্পাঞ্চলের ছোট একটি বাজারে আমাদের আর্থিক প্রতিষ্ঠান। তবুুুুও এখানে প্রতিদিন কোটি টাকার লেনদেন হয়। এ জন্য ডাকাতদের রক্তচক্ষুর নজর বেশী। সেই হিসেবে নিরাপত্তার কোনো বালাই নেই। আমাদের নিজস্ব নিরাপত্তার তেমন কোনো ত্রুটি নেই। কিন্তু, গতকালের (মঙ্গলবার) মতো ভয়াবহ হামলা ঠেকানো সম্ভব নয়।
গতকালের (মঙ্গলবার) ঘটনার পর আইনশৃংখলা বাহিনীর কেমন সহযোগীতা পেয়েছেন? এমন প্রশ্ন করতেই ওই ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের কাঠগড়া শাখার পাশেই আমার প্রতিষ্ঠান। জীবন হারানোর ভীতি তাড়া করছে আমাদের সবাইকে। কিন্তু, এখন পর্যন্ত পুলিশের একটি টহল ভ্যানও ব্যাংকের সামনে আসেনি। বাধ্য হয়ে আশুলিয়া থানায় আজ নিরাপত্তা চেয়ে চিঠি পাঠাচ্ছি। অন্তত লেনদেন চলাকালীন সময়ে যেন গ্রাহক ও ব্যাংক কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয় সেই দাবি জানান তিনি।
কাঠগড়া বাজারের পাশ্ববর্তী জিরাবো বাজারের বিভিন্ন ব্যাংকেও একই চিত্র। গ্রাহক না থাকলেও প্রতিটি ব্যাংকেই বিরাজ করছে চরম আতঙ্ক।
ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক জিরাবো শাখার ব্যবস্থাপক রেজাউল করিম জাগো নিউজকে জানান, আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে যাওয়ার সময় ডাকাতির ঘটনা নতুন কিছু নয়। কিন্তু, ব্যাংকের ভিতরে ঢুকে এমন বর্বরতা এবারই প্রথম। এ ঘটনায় জীবন নিয়ে শঙ্কায় আছি আমরা ব্যাংক কর্মচারীরা। 
এখনই প্রতিটি ব্যাংকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি।
জিরাবো বাজারের মিডল্যান্ড ব্যাংকের ব্যবস্থাপক লিটন আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, কাঠগড়ার ঘটনা থেকে এখনও শিক্ষা নেয়নি পুলিশ। পাশ্ববর্তী ব্যাংকগুলোর নিরাপত্তার ব্যাপারে এখনও তারা উদ্দ্যোগি হয়নি। প্রতিটি ব্যাংকেই বিরাজ করছে আতঙ্ক। কে গ্রাহক আর কে ডাকাত সবই আমাদের অজানা।
এমএএস/পিআর