ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

৩ ম্যাজিস্ট্রেটকে ২ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখল শ্রমিকরা

প্রকাশিত: ০৩:৩১ পিএম, ০৭ মে ২০১৭

শেরপুরে এক ড্রাইভারকে মারধর করার অভিযোগে শহরের খোয়ারপাড় মোড়ে শ্রমিকদের তোপের মুখে পড়েন ভ্রাম্যমাণ আদালতের ৩ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। রোববার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় শ্রমিকরা প্রায় দুই ঘণ্টা ওই তিন ম্যাজিস্ট্রেটকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে সদর থানা পুলিশের ওসি ও শ্রমিক নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার বিকেলে ৩ সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেন, আরাফাতুল আলম ও কহিনুর জাহান খোয়ারপাড় মোড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

এ সময় তারা ট্রাক-বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে গাড়ির ফিটনেস ও কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শেরপুর সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. শহিদুজ্জামান মালভর্তি একটি ট্রাককে থামতে বলেন।

ট্রাক ড্রাইভার গাড়িটি যথাস্থানে না থামিয়ে কিছুটা দূরে গিয়ে অবস্থান নেয়। এতে ওই পুলিশ কর্মকর্তা ক্ষিপ্ত হয়ে ড্রাইভার কেনা মিয়াকে চড় মারেন এবং গাড়ি থেকে নামিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে নিয়ে যান।

ঘটনাটি জানাজানি হলে মুহূর্তের মধ্যে শত শত শ্রমিক ট্রাক-বাস, ইজিবাইক থামিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ৩ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সদস্যদের অবরুদ্ধ করে রাখেন।

এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ওই পুলিশ সদস্যের বিচার দাবি করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। কয়েক মিনিটের মধ্যে শেরপুর জেলার ৪ উপজেলা, জামালপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার আরও তিনটি উপজেলার সকল গাড়ি এসে খোয়ারপাড় মোড়ে আটকে যায়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে সদর থানা পুলিশের ওসি মো. নজরুল ইসলাম অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন।

পরে শেরপুর জেলা ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান চালক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিচারের আশ্বাস দিলে সন্ধ্যার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে শ্রমিক নেতা মজিবর রহমান বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে শ্রমিককে চড়-থাপ্পড় মেরে বিচার করা আইনের মধ্যে পড়ে না। এটা অপরাধ। যে পুলিশ কর্মকর্তা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তার বিচার করতে হবে।

শেরপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, তদন্ত করে যদি অপরাধ প্রমাণিত হয়, তবে ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এসপি মহোদয় ব্যবস্থা নেবেন।

তবে এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ওই ৩ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

হাকিম বাবুল/এএম/আরআইপি