রায়পুরায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় নিহত ২, আহত ২০
নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নরসিংদীর রায়পুরার চরাঞ্চল বাঁশগাড়ীতে দুই দল গ্রামবাসীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে ২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন। এসময় ৩০/৩৫টি বসত ঘরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে জেলার রায়পুরা উপজেলার মেঘনা নদী বেষ্টিত চরাঞ্চল বাঁশগাড়ীতে এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন, আরুশ আলী ও জয়নাল। তারা দুইজনই বাঁশগাড়ী আওয়ামী লীগের সভাপতি হাফিজুর রহমান সাহেদের সমর্থক।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বাশঁগাড়ী এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন যাবৎ বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল হক ও সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সাহেদের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। গেল ইউপি নির্বাচনে বাঁশগাড়ী আওয়ামী লীগের সভাপতি হাফিজুর রহমান সাহেদ পরাজিত হওয়ার পর উভয়পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে উঠে।
ইউপি নির্বাচনে জয় পরাজয়কে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে সংর্ঘষ হয়। সংঘর্ষে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল হকের সমর্থকদের তোপের মুখে এলাকা ছাড়া হয়ে যায় সাহেদ সমর্থকরা। এই নিয়ে সাহেদ সমর্থকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা চলে আসছিল। দীর্ঘদিন গ্রাম ছাড়া থাকার পর গত মাসে সাহেদ সমর্থকরা গ্রামে ফেরার উদ্যেগ নেয়।
এই খবর সিরাজুল হক চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে তারা শক্ত অবস্থান নেয়। এ নিয়ে গত মসে উভপক্ষের মধ্যে রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষে একজন নিহত হয়। আহত হয় শতাধিক। পরে প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেন। প্রশাসনিক তৎপরতায় সাময়িকভাবে বন্ধ হলেও কোনো সমাধান হয়নি।
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সোমবার সকাল থেকেই উভয়পক্ষ সংঘর্ষের প্রস্তুতি নেয়। বেলা ১টার দিকে উভয়পক্ষ টেঁটা বল্লম, দা, অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংষর্ষে জড়িয়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুইজন নিহত হয় এবং ২০ জন আহত হয়েছেন।
খবর পেয়ে রায়পুরা থানা পুলিশের পাশাপাশি জেলা সদর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ রিপোট লেখা পযর্ন্ত থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শফিউর রহমান বলেন, পূর্ব শত্রুতা ও আধিপত্ব বিস্তারের জের ধরেই এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে পুলিশ।
সঞ্জিত সাহা/এমএএস/এমএস