হাওরে ফসল নষ্ট হলেও খাদ্য সংকট নেই : খাদ্যমন্ত্রী
ফাইল ছবি
খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, আগাম বন্যায় হাওরে কিছু ফসল নষ্ট হয়েছে, কিন্ত কোনো খাদ্য সংকট সৃষ্টি হয়নি। মজুদ ব্যবস্থাপনায় কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি।
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় বুধবার দুপুরে সরকারিভাবে বোরো চাল সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে টেলিকনফারেন্সে খাদ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, চালকল মালিকরা সহযোগিতা করছেন, তারা সহযোগিতা করবেন। নালিতাবাড়ীতে যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, আশা করছি তা পূরণ হবে।
এরপর কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী টেলিকনফারেন্সে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

তিনি বলেন, হাওরে ক্ষতি হওয়ার পরও সরকার আজ চাল সংগ্রহ করছে। পাহাড়ি ঢল ও ব্লাস্ট রোগে ধানের ক্ষতি হলেও কৃষকদের প্রচেষ্টার জন্য অন্তর থেকে ধন্যবাদ জানাই। চালকল মালিকদেরও সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
এদিন উপজেলা খাদ্য গুদাম চত্বরে মেসার্স শাহ অ্যান্ড বিকাশ চালকলের পাঁচ টন চাল সংগ্রহের মধ্য দিয়ে বোরো সংগ্রহ অভিযানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এ উপলক্ষে নালিতাবাড়ী উপজেলা এলএসডি খাদ্য গুদাম চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরফদার সোহেল রহমান। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মাহবুবুর রহমান খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিয়াউল হোসেন মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সবুর, ওসিএলএসডি মো. ওয়াহিদুজ্জামান, চালকল মালিক মাফুজুর রহমান বিপ্লব প্রমুখ বক্তব্য রাখন।
চলতি বোরো মৌসুমে নালিতাবাড়ী উপজেলায় ৪ হাজার ৭৩০ মেট্রিক টন বোরো চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নালিতাবাড়ীতে এ পর্যন্ত ২০ জন চালকল মালিক খাদ্য বিভাগের সঙ্গে বোরো সংগ্রহ চুক্তি করেছেন।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মাহবুবুর রহমান খান বলেন, চলতি বোরো মওসুমে এ জেলায় ৩০ হাজার ১০১ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল ও এক হাজার ১৫১ মেট্রিক টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিকেজি সিদ্ধ চালের মূল্য ৩৪ টাকা এবং আতপ চালের মূল্য ৩৩ টাকা। আগামী ৩১ আগস্ট পযর্ন্ত বোরো চাল সংগ্রহ অভিযান চলবে।
হাকিম বাবুল/আরএআর/জেআইএম