ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

চিঠিতেই সীমাবদ্ধ কলমাকান্দার রামনাথপুর স্থলবন্দর

প্রকাশিত: ১২:০৫ পিএম, ২৮ মে ২০১৭

চিঠি চালাচালিতেই আট বছর ধরে আটকে আছে নেত্রকোনার কলমাকান্দা রামনাথপুর স্থলবন্দর। ভারতের কয়লা খনি থেকে মাত্র তিন থেকে চার কিলোমিটার দূরে এই বন্দর স্থাপনে প্রথমে ভারত থেকে প্রস্তাব দিলেও বিভিন্ন দফতরের ফাইল জটিলতায় আটকে আছে বন্দরের কার্যক্রম।

বন্দরটি চালু হলে বাংলাদেশের বিভিন্ন পণ্য আমদানি-রফতানি করে দু’দেশের সর্ম্পক উন্নয়ন হবে বলে ধারণা স্থানীয়দের। কয়েক বার ভারত বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হলেও কোনো সুরাহাই হয়নি। তবে স্থলবন্দরটি চালু হলে সরকার শত কোটি টাকার রাজস্ব পাবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

Page২০০৯ সালে দু’দেশের পরীক্ষার নিরীক্ষার শুরু হওয়ার কথা ছিল নেত্রকোনার কলমাকান্দা রামনাথপুর স্থলবন্দর। বন্দরটি চালু হলে দেশের মেলামাইন সামগ্রী, শুটকি মাছ, প্লাস্টিক সামগ্রী, ইট, টেউটিন, নেট মশারির কাপড়সহ রফতানিসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করা যাবে।

কলমাকান্দা এলাকার বিপরীতে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের কাছাকাছি স্থানে কয়লা খনি থাকায় ভারতই আগ্রহ প্রকাশ করে এই স্থানে স্থলবন্দর স্থাপনের। কিন্তু নানান জটিলতার অজুহাতে বিভিন্ন দফতরে চিঠি চালাচালিতেই আট বছর ধরে আটকে আছে বন্দরটি চালু হবার কার্যক্রম। ফলে এই স্থান দিয়ে কয়লাসহ বিভিন্ন পণ্য ব্যবসায়ীরা দিনদিন আগ্রহ হারাচ্ছে।

ভারত বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হলেও বিভিন্ন দফতরের ফাইল জটিলতায় বন্দরের কার্যক্রম আটকে আছে বলে জাগো নিউজকে জানান কলমাকান্দা সীমান্তের রামনাথপুর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ।

এই প্রথম ভারত থেকে স্থলবন্দর করতে বাংলাদেশকে প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানান, কলমাকান্দা সীমান্তের রামনাথপুর ব্যবসায়ী সমিতির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম।

সমিতির ক্যাশিয়ার ও কলামাকান্দার ব্যবসায়ী নেতা মো. কাউসার আলম মনু জাগো নিউজকে জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দফতরের প্রস্তাবেও বলা হয়েছে এই স্থলবন্দর চালু হলে বছরে একশ কোটি টাকা রাজস্ব পাবে। তারপরেও কোন অজুহাতে এই ফাইল আটকে রাখা হয়েছে। তিনিও সরকারের প্রতি বন্দরটি চালু করে এর কার্যক্রম শুরু করার আহ্বান জানান।

বন্দরটি চালু হলেও দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়নসহ স্থানীয়দের জীবনমানের উন্নয়ন হবে বলে ধারণা স্থানীয়দের।

কলমাকান্দার এই স্থল বন্দরটি জরুরি চালু করার ব্যাপারে জেলা উন্নয়ন সভায় কথা হয়েছে বলে জাগো নিউজকে জানান, কলমাকান্দার উপজেলা চেয়ারম্যান এস.এম ফখরুল আলম ফিরোজ। এই স্থলবন্দর চালু হলে স্থানীয়দের কর্মসংস্থানসহ সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব পাবে বলেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ড. মুশফিকুর রহমান জাগো নিউককে জানান, বন্দরটির কাগজপত্র জমা আছে। বর্তমানে কি অবস্থায় আছে তিনি তা জানেন না।

এমএএস/পিআর