হাত কামড়ে ধর্ষণের হাত থেকে বেঁচে গেল স্কুলছাত্রী
নরসিংদীর রায়পুরায় নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের হাত থেকে বেঁচে পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ করেছেন। তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়েছে আলম নামে এক বখাটে।
দুঃসাহসিকতায় বেঁচে গিয়ে ওই স্কুলছাত্রী স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ করেছে। কিন্তু পুলিশ তা আমলে না নিয়ে জানায়, এটা তেমন কিছুই না। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের নলবাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতিত স্কুলছাত্রীর পরিবারের লোকজন জানায়, স্থানীয় বালুয়াকান্দি উচ্চবিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী প্রতিদিন স্থানীয় একটি কোচিং সেন্টারে প্রাইভেট পড়তে যায়। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় কোচিং সেন্টার থেকে বাড়ি ফেরার পথে হঠাৎ বৃষ্টি নামলে মেয়েটি নলবাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দায় গিয়ে আশ্রয় নেয়।
এ সময় একই গ্রামের মৃত শাহজাহানের বখাটে ছেলে আলম (২২) মেয়েটিকে একা পেয়ে তাকে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় মেয়েটি নিজেকে রক্ষা করার জন্য বখাটের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে।
একপর্যায়ে সে বখাটে আলমের হাতে কামড় দিয়ে নিজেকে মুক্ত করে দৌড়ে বাড়িতে গিয়ে উঠে। মেয়েটি এ ঘটনা তার মাকে জানালে মা স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলজার হোসেনের সহযোগিতায় আমিরগঞ্জ ফাঁড়িতে গিয়ে পুলিশকে ঘটনা অবহিত করে।
পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলেও এসআই আমিনুল হক বখাটেকে গ্রেফতার না করে ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করার জন্য বাড়ির লোকজন ও স্থানীয় মেম্বারকে নির্দেশ দিয়ে আসেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলজার হোসেন বলেন, ছাত্রীটি নিজের দুঃসাহসিকতায় ধর্ষণের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। কিন্তু পুলিশ বখাটের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা না নিয়ে রহস্যজনক কারণে মীমাংসার চাপ প্রয়োগ করছে। এত বড় অপরাধ করেও যদি বখাটেরা পার পেয়ে যায় তাহলে আর কোনো মা-বাবা মেয়েদের স্কুলে পাঠাবে না।
এ ব্যাপারে আমিরগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল হক বলেন, এটা তেমন কিছুই না। মেয়েটির মুখ চেপে ধরেছিল, পরে আর কিছু ঘটেনি। মেয়েটি বখাটের হাত থেকে ছুটে চলে গেছে।
স্কুলছাত্রী ফাঁড়িতে কোনো অভিযোগ করেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছেলে ও মেয়ে একই এলাকার হওয়ায় বিষয়টি সামাজিকভাবে সমাধানের চেষ্টা চলছে।
সঞ্জিত সাহা/এএম/পিআর