ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

নরসিংদীতে ছাত্রলীগ নেতার দুই হাতের কব্জি কর্তন

প্রকাশিত: ০২:১৩ পিএম, ১৩ মে ২০১৫

নরসিংদীতে প্রকাশ্যে এক ছাত্রলীগ নেতার দুই হাতের কব্জি কেটে নিয়েছে সন্ত্রাসীরা। পারিবারিক বিরোধের জের ধরে বুধবার বিকেলে সাহেপ্রতাপের একটি ব্রিক ফিল্ডে এই ঘটনা ঘটে।

মুমূর্ষু অবস্থায় আহত ছাত্রলীগ নেতা আল-আমিনকে (২৩) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর আগে নরসিংদী পৌরসভার সামনে থেকে তাকে প্রকাশ্যে তুলে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।

আহত আল-আমিন নরসিংদী শহরের বানিয়াছল বিলপাড় এলাকার মৃত ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও আহতের পরিবারের সদস্যরা জানায়, বোনের বিবাহ বিচ্ছেদের সালিসে যাওয়ার সময় দুপুরে নরসিংদী পৌরসভার সামনে থেকে ৪-৫ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী মোটরসাইকেল করে প্রকাশ্যে আল-আমিনকে তুলে নিয়ে যায়। পরে সন্ত্রাসীরা সদর উপজের সাহেপ্রতাব এলাকায় একটি ব্রিকফিল্ডে তার উপর নির্যাতন চালায়। এসময় সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার দুই হাতের কব্জি কেটে ফেলে। পরে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে বিকেলে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

জেলা হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মিজানুর রহমান বলেন, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত আল-আমিনের বাম হাতের কব্জিসহ ৫টি আঙ্গুল ও ডান হাতের ৪টি আঙ্গুলের সামনের অংশ পড়ে গেছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত আল-আমিন সাংবাদিকদের বলেন, যারা আমার হাট কেটেছে তাদের ৪ জনকে আমি চিনি। তারা হলো, শিববাগ এলাকার রাসেল, শফিক, কসাই বাবু ও মনির।

বোন খাদিজা বেগম জানায়, বড় বোন হাজেরা বেগমের সঙ্গে স্বামীর বনিবনার অভাব ছিল। স্বামী তাকে মারধর করলে সম্প্রতি বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এনিয়ে স্বামীর বাড়ির লোকজনের সাথে আমাদের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে তারা আমার ভাই রহিম মিয়াকে শিববাগে ধরে নিয়ে মারধর করে।

আজ পৌরসভায় সালিসে যাওয়ার পথে সন্ত্রাসীরা আমার ভাইয়ের হাতের কব্জি কেটে দেয়।

নরসিংদী সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম বলেন, ঘটনাটি পারিবারিক। বিষয়টি মেয়র সমাধানও করেছে। কিন্তু, এরই মধ্যে সন্ত্রাসীরা আল-আমিনকে তুলে নিয়ে হাতের কব্জি কেটে ফেলেছে। এই ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে সুজন নামে এক সন্দেহভাজনকে আটক করেছে পুলিশ।

সঞ্জিত সাহা/এমএএস/আরআইপি