ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ঝুড়ি তৈরিতে ব্যস্ত রঘুরামপুরের কারিগররা

প্রকাশিত: ০৬:৩৫ এএম, ১৯ মে ২০১৫

রাজশাহীর বাজারে  উঠতে শুরু করেছে পাকা আম। আর এ আম পরিবহনের জন্য প্রয়োজন ঝুড়ি। ঝুড়ি ছাড়া আম পরিহনের কথা ভাবাই যায় না। বাঁশের ‘বাখারি’ দিয়ে তৈরি ঝুড়ি ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে ক্রেতাসহ সবার খুব দরকারি জিনিস। আম বাজারে উঠার সঙ্গে সঙ্গে এর চাহিদাও বাড়তে থাকে সবার কাছে।

আমের মৌসুমে এসব ঝুড়ি তৈরির ধুম পড়ে যায় আম প্রধান এলাকায়। এসময় তৈরি করা হয় বড়, মাঝারি ও  ছোট আকৃতির ঝুড়ি। বানেশ্বর এলাকার রঘুরামপুর গ্রামের কারিগর পাড়ায় এখন সবাই ঝুড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এর মাধ্যমে তারা বাড়তি উপার্জন করছেন। এ কারিগরদের মধ্যে আছেন সইজুদ্দিন ও রইছউদ্দিন নামে দুই ভাই।

তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা দুই ভাইই কৃষক। কৃষিকাজ করেন। কৃষিকাজের ফাঁকে বাড়তি উপার্জনের আশায় ঝুড়ি তৈরি করেন। স্থানীয় এলাকা থেকে তল্লা জাতের বাঁশ কিনে তা দিয়ে বড় বড় ঝুড়ি তৈরি করেন। একটি বাঁশ থেকে দুই থেকে তিনটা ঝুড়ি তৈরি করা হয়। প্রতিটি ঝুড়ির দাম ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। এসময় তারা প্রতিবছর ৫০০ থেকে ৬০০ করে ঝুড়ি তৈরি করেন। ২০ বছর ধরে তারা ঝুড়ি তৈরির কাজ করছেন।

রইছউদ্দিন জানালেন, এসব ঝুড়ি খুব শক্তিশালী হয়। আম পরিবহনে কাজে লাগে। একটা করে ঝুড়ি তৈরি করতে দুই থেকে তিন ঘণ্টা সময় লাগে। পরিবারের সব সদস্য মিলেই ঝুড়ি তৈরি করা হয়।’ অন্যান্য কাজকর্ম সেরে এই ঝুড়িগুলো দ্বারা তারা বাড়তি উপার্জন করে আর্থিকভাবে লাভবান হন।

সইজুদ্দিন বলেন, আমি প্রায় ১২ মাসই ঝুড়ি তৈরি করি। তবে অন্য সময় চাপ কম থাকে। এসময় কাজের চাপ বেশি থাকে। আমের মৌসুম ছাড়া অন্য মৌসুমে ঝুড়িগুলো সবজিসহ বিভিন্ন ধরনের ফলমূল বহনে ব্যবহার করা হয়।

শাহরিয়ার অনতু/এসএস/পিআর