ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

বন্যায় বগুড়ার দেড় শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ

জেলা প্রতিনিধি | বগুড়া | প্রকাশিত: ১১:৫১ এএম, ১২ জুলাই ২০১৭

বগুড়ার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার দেড় শতাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, মাদরাসা ও কলেজে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। ফলে ক্লাসরুম, মাঠসহ অফিস কক্ষ পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে বন্ধ হয়ে পড়েছে ষাণ্মসিক পরীক্ষা গ্রহণসহ সার্বিক শিক্ষা কার্যক্রম।

পানিতে ডুবে যাওয়ায় বর্তমানে দেড় শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে একটি স্কুলের কর্তৃপক্ষ বাঁশ আর টিন দিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কাছেই ঘর তুলে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। 

বন্যাকবলিত স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থী আনিসুল, রাজিয়া, মহসীন, রেজাউলসহ অন্যরা জানান, প্রতি বছরই বন্যার সময় পাঠদান ও পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকে। এছাড়া বাসাবাড়িতে পানি ওঠায় বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়ে থাকতে হয়। এতে পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটে।

এদিকে সারিয়াকান্দির চন্দনবাইশা আটবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাঁশ আর টিন দিয়ে বাঁধের পশ্চিম পাশে ক্লাসরুম তুলে সেখানে শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে।

সারিয়াকান্দি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, উপজেলার চন্দনবাইশা আবু আব্দুল্লাহ দাখিল মাদরাসা, শনপঁচা উচ্চ বিদ্যালয়, জামথল উচ্চ বিদ্যালয়, বোহাইল উচ্চ বিদ্যালয়, উত্তর টেংরাকুড়া উচ্চ বিদ্যালয়, আউচার পাড়া উচ্চ বিদ্যালয় ও নিজাম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়সহ সবকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি প্রবেশ করায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে।

সারিয়াকান্দি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল আলম জানান, এ উপজেলায় ৫৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৪৩টির পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কয়েকটি স্কুল বাঁধের আশেপাশে হওয়ায় বাঁধের উপর অস্থায়ী পাঠদান করানো হচ্ছে।

বগুড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসেন আলী জানান, সোনাতলা, সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলার ৭৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি উঠেছে। ১২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা উপস্থিত থাকলেও শিক্ষার্থীরা আসছে না। যেসব বিদ্যালয়ে বন্যার কারণে পড়ালেখা বিঘ্নিত হবে, সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি চলে যাবার পর অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে তা পূরণ করা হবে।

বগুড়া জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোপাল চন্দ্র জানান, প্রতিদিনই পানি বাড়ছে। তাই কতগুলো স্কুলে বন্যার পানি উঠেছে তার সঠিক হিসেব এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। তবে এ পর্যন্ত দেড়শতাধিক স্কুল-কলেজ ও মাদরাসায় পানি উঠেছে। ফলে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়েছে। বন্যার পানি নেমে গেলে শিক্ষকরা সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অতিরিক্ত ক্লাস নেয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের এই ক্ষতিটা পুষিয়ে দেবেন। আর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও একাডেমি সুপারভাইজাররা এটি মনিটরিং করবেন।

লিমন বাসার/আরএআর/জেআইএম

আরও পড়ুন