বগুড়ায় বন্যায় গৃহহীন চরাঞ্চলের ৫ শতাধিক পরিবার
বগুড়ায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলেও চরাঞ্চলের পাঁচ শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের চরাঞ্চলের মানুষ ঘর হারিয়ে এখন নিরাপদ আশ্রয় খুঁজছেন। এদের মধ্যে অনেকে বসতবাড়ির অংশ ভেঙে নিয়ে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।
বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত যমুনা নদীর পানি আর বাড়েনি। এখন বিপদসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়েই পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, বগুড়ার সারিয়াকান্দির কুতুবপুর, বয়রাকান্দি, চন্দনবাইশা এবং কামালপুর ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। বুধবার পর্যন্ত এসব ইউনিয়নে কমপক্ষে ২০টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। ঘরে ঘরে পানি উঠায় বানভাসিরা নিজের জায়গা জমি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। আশ্রয় নেয়া স্থানে গৃহপালিত পশু ও পরিবারের সদস্যরা একই স্থানে থাকছেন। খেতে-খামারে কাজ করলেও অনেক বানভাসি মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। সরকারি ও বেসরকারিভাবে ত্রাণ সহযোগতি দেয়া হলেও বানভাসিরা বলছেন, চাহিদামত তারা ত্রাণ পাচ্ছেন না।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলেন, বুধবার বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরপর বৃহস্পতিবার পানি বৃদ্ধি না পেয়ে একইভাবে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস জানিয়েছে, সারিয়াকান্দি উপজেলার হাটশেরপুর ইউনিয়নের তিনটি গ্রামসহ চালুয়াবাড়ি, বোহাইল ইউপির চরাঞ্চলের পাঁচ শতাধিক পরিবার নদী ভাঙনে গৃহহীন হয়েছে। চরাঞ্চলে পানি ওঠায় এসব এলাকার লোকজন বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন। অনেকেই বসতবাড়ির আসবাবপত্র নিয়ে উঁচু স্থানের সন্ধানে ছুটছেন।
বগুড়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নুরে আলম সিদ্দিকী জানান, বন্যা কবলিত এলাকায় সরকার ত্রাণ বরাদ্দ দিয়েছে। ইতিমধ্যেই ধুনট, সারিয়াকান্দি ও সোনাতলায় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
এদিকে ওই তিন উপজেলায় এমপি আব্দুল মান্নান, এমপি আলহাজ্ব হাবিবর রহমান, জেলা প্রশাসক নূরে আলম সিদ্দিকী ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন। এছাড়াও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছে।
লিমন বাসার/আরএআর/জেআইএম