ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

বিএসএফ বলছে মরদেহ উদ্ধার, পরিবার বলছে হত্যা

জেলা প্রতিনিধি | শেরপুর | প্রকাশিত: ০৪:১০ পিএম, ০৫ অক্টোবর ২০১৭

শেরপুরে ঝিনাইগাতীর গজনী সীমান্তের ওপারে এক বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করে বৃহস্পতিবার বিকেলে বিজিবিকে বার্তা পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

তবে নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, মানসিক ভারসাম্যহীন ওই যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে বিএসএফ। বুধবার বিকেলে গজনী সীমান্তের ওপারে ১১০১ নং সীমান্ত পিলারের সন্নিকটে ভারতের মেঘালয়ের তোরা জেলার কুচাদাগ্রি বিএসএফ ক্যাম্পের কাছে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আশরাফ আলী (২৫) ঝিনাইগাতীর পাইকুড়া গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে।

ঝিনাইগাতী সীমান্তের নকশী এলাকার বাসিন্দা নিহতের দুলাভাই মো. আলাল উদ্দিন জানান, তার শ্যালক আশরাফ আলী টঙ্গীর একটি গার্মেন্টসে শ্রমিকের কাজ করত। প্রায় এক বছর ধরে সে মানসিক ভারসাম্যহীন। বুধবার তার নকশীর বাড়িতে আসার পর আশরাফ আলী বিকেলে গজনী এলাকায় বেড়াতে গিয়ে পথ ভুলে ভারত সীমান্তে ঢুকে পড়ে। এ সময় ওপারের ভেরভেরি বিএসএফ ক্যাম্পের এক জওয়ান গুলি ছুড়লে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তার পকেটে থাকা গার্মেন্টের একটি কার্ডের সূত্র ধরে স্থানীয় এক গারো এপারের এক আত্মীয়কে ঘটনাটি জানালে তাকে খুঁজে না পেয়ে মৃত্যুর বিষয়টি তারা নিশ্চিত হন। পরে ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ ও নকশী বিএসএফ ক্যাম্পকে বিষয়টি জানানো হয়।

বিজিবির ময়মনসিংহ সেক্টরের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আনিসুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিজিবি তাদের সীমান্তে মরদেহ উদ্ধারের কথা জানালেও কিভাবে ওই বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু হয়েছে তা জানাতে পারেনি। ওপারে মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। শুক্রবার বিএসএফ মরদেহ হস্তান্তরের কথা জানিয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে মৃত্যুর সঠিক কারণে জানা যাবে।

এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নকশী সীমান্ত ফাঁড়ি বিজিবির পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক পতাকা বৈঠকের আহ্বানে বিএসএফ সাড়া দিলে নো-ম্যানস ল্যান্ডে এক সংক্ষিপ্ত পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকে অংশ নেয়া বিজিবির নকশী সীমান্ত ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার নায়েব সুবেদার মো. নুরুল ইসলাম বলেন, পতাকা বৈঠকে আশরাফ আলীর মরদেহ উদ্ধারের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেলেও তিনি কিভাবে নিহত হয়েছে সে ব্যাপারে বিএসএফের পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি।

হাকিম বাবুল/আরএআর/আইআই