নিজ জিম্মায় বাড়ি ফিরলো ৩৩ অভিবাসী
মিয়ানমারের বন্দী শিবির থেকে দ্বিতীয় দফায় ফিরিয়ে আনা ৩৭ জনের মধ্যে ৩৩ জন নিজ জিম্মায় বাড়ি ফিরেছে। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তথ্য যাচাই বাছাই শেষে শনিবার বিকেলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে এদের মধ্যে চারজন শিশু হওয়ায় পূর্বের মতো তাদের রেড ক্রিসেন্টের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে ওই চার শিশুকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করবে বলে জানিয়েছে রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষ।
কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান আবুল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, দুপুরে তাদের কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ আদালতে উপস্থাপন করা হয়। এরপর আদালত আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের নিজ নিজ জিম্মায় ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবদুস সোবহান বলেন, আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিজ জিম্মায় ৩৩ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের ব্যাপারে সব তথ্য যাচাই বাছাই করা হয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমদ বলেন, ফেরত আসা ৩৭ জন সাত জেলার বাসিন্দা। প্রত্যেক জেলায় মানবপাচারকারীর বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফেরত আসা বাংলাদেশিরা নিজ এলাকায় পৌঁছেই এ মামলা করবেন।
শুক্রবার দুপুরে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ঢেকুবনিয়ায় বিজিবি ও মিয়ানমারের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনাল রেজিস্ট্রেশন বিভাগের সঙ্গে পতাকা বৈঠক হয়। বৈঠকের মধ্যদিয়ে মিয়ানমার জল সীমা ভাসমান নৌযানসহ উদ্ধার ২০৮ অভিবাসীর মধ্যে বাংলাদেশি বলে সনাক্ত করে ৩৭ জনকে দ্বিতীয় দফায় ফিরিয়ে আনা হয়।
পরে সন্ধ্যায় বিজিবি তাদের জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পুলিশ তাদের কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ডরমেটরিতে রাখেন। আর এখানে চলে তাদের তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের কাজ।
এর আগে গত ৮ জুন উদ্ধার হওয়া ১৫০ জন বাংলাদেশিকে সনাক্ত করে প্রথম দফায় দেশে ফেরত আনা হয়েছিল।
সায়ীদ আলমগীর/এআরএ/আরআই