তিনবিঘা করিডোরে দুই বাংলার ছিটবাসীর মিলন মেলা
বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশের স্থল চুক্তি হওয়ায় দহগ্রাম তিনবিঘা করিডোর এলাকা দুই বাংলার ছিটমহল অধিবাসীদের মিলন মেলায় পরিণত হয়। শুক্রবার দুপুরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ১১১টি ছিটমহলের অধিবাসীরা লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম-আঙ্গোরপোতা তিনবিঘা করিডোর এলাকায় এক আনন্দ র্যা লি ও লাল সবুজ পতাকা নিয়ে করিডোর এলাকায় প্রবেশ করেন।
বাংলাদেশের র্যা লিটি করিডোরে প্রবেশের পর ভারতের অভ্যন্তরে ৫১টি ছিটমহলের কয়েকশ নারী-পুরুষ ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি ছিটবাসীর মুক্তি ব্যানার হাতে নিয়ে আনন্দ মিছিল করতে করতে করিডোর চত্বরে প্রবেশ করেন। এসময় করিডোর এলাকা পরিণত হয় এক মিলন মেলায়। দূর-দুরান্ত থেকে আসা আত্মীয়-স্বজনদের এক নজর দেখার জন্য ব্যাকুল হয়েছিলেন সবাই। এসময় লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, পঞ্চগড় এলাকার থেকে কয়েক হাজার নারী-পুরুষ এ মিলন মেলায় মিলিত হন। 
ভারতের অভ্যন্তরে কুচবিহার জেলার মাথাভাঙ্গা এলাকার ৪নং নলগ্রাম ছিট থেকে আসা খতিবর রহমান (৬০) জাগো নিউজকে জানান, ১০ বছর থেকে বাংলাদেশে থাকা আমার আপন ৩ ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হয় না। তাই আজ এসেছি তিনবিঘা করিডোর এলাকায় ভাইদের এক নজর দেখার জন্য। ভারতের গড়লা ১ নং ছিট থেকে এসেছেন শাহানাজ ও সেলিনা খাতুন। বাংলাদেশে থাকা ভাই-বোনদের দেখার জন্য। ১২ বছর পর ভাই-বোনদের দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
পরে দু`দেশের যৌথ সভায় ভারতের ছিটবাসীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন ভারত-বাংলদেশ ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটি ভারত ইউনিটের সভাপতি দ্বীপ্তিমান সেন গুপ্ত, বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটি বাংলাদেশ ইউনিটের সভাপতি মইনুল হক, সমন্বয় কমিটির আইন উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিঙ্কন, বাংলাদেশ ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।
বক্তরা ছিটমহল বিনিময় চুক্তি বিলটির অনুমোদন হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, নরেন্দ্র মোদি, মমতাকে ছিটমহলবাসীর পক্ষ থেকে দু`দেশের সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
রবিউল হাসান/এমজেড/পিআর