মাদরাসা ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ, যুবকের যাবজ্জীবন
শেরপুরে ৬ষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে জোরপূর্বক অপহরণ করে ধর্ষণের দায়ে এক যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে।
বুধবার বিকেলে এ সাজার রায় ঘোষণা করেন শিশু আদালতের বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন। সাজাপ্রাপ্ত মজিবর রহমান (২৮) সদর উপজেলার চক আন্ধারিয়া গ্রামের কুতুব আলীর ছেলে। তিনি পলাতক থাকায় তার অনুপস্থিতিতে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
নারী ও শিশু আদালতের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি মামলার নথির উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, ২০১৪ সালের ২৯ জুলাই ছিল ঈদের দিন। ওই দিন দুপুর ১টার দিকে সদর উপজেলার হাওড়া গড় এলাকার ওই মাদরাসা ছাত্রী খালার বাড়ি বেড়াতে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে আমতলি নামক এলাকায় পৌঁছলে সাজাপ্রাপ্ত মজিবর রহমান জোরপূর্ব্বক তাকে অপহরণ করে সিএনজি অটোরিকশায় উঠিয়ে নেয়।
পরে তাকে বিভিনস্থানে আটকে রেখে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করলে পুলিশ ওই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার ও আসামি মজিবর রহমান আটক করে।
শেরপুর সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. হাবিবুর রহমান তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর আসামি মজিবর রহমানকে অভিযুক্ত করে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৭/৯(১) ধারায় (অপহরণ পূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ) আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করে।
আদালতে বিচার চলাকালীণ সময়ে জামিনে মুক্ত হয়ে আসামি মজিবর পলায়ন করে। বিচারিক প্রক্রিয়ায় তদন্ত কর্মকর্তা, চিকিৎসকসহ ১০ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার বিচারক ধর্ষকের যাবজ্জীবন সাজার রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পিপি গোলাম কিবরিয়া বুলু রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, এ রায় নারী ও শিশু নির্যাতন রোধ এবং তাদের অধিকার সুরক্ষায় অবদান রাখবে।
হাকিম বাবুল/এমএএস/জেআইএম