ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

গাজীপুরে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে পতিতালয়ে বিক্রি : আটক ৪

প্রকাশিত: ০৮:১৬ এএম, ০৩ জুলাই ২০১৫

প্রেম করে বিয়ের পর যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে পতিতালয়ে বিক্রি করে দিয়েছিলেন এক স্বামী। এরপর পতিতালয় থেকে স্ত্রীকে উদ্ধার এবং স্বামীসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে গাজীপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

জানা গেছে, গাজীপুর সদর উপজেলার শিরিরচালা গ্রামের রমিজ উদ্দিনের ছেলে রানা তার স্ত্রীকে ৬৩ হাজার টাকায় দৌলদিয়া পতিতালয়ে বিক্রি করে দেন। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর ভগ্নিপতি আব্দুল বাতেন ২১ জুন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কোর্ট পিটিশন মামলা করলে বিজ্ঞ আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন গাজীপুরকে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেন।

পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক খোন্দকার শওকত জাহানের নেতৃত্বে বুধবার গভীর রাতে রাজবাড়ী জেলার দৌলতদিয়া পতিতালয় থেকে স্ত্রীকে উদ্ধার করে এবং পতিতালয়ের সর্দারনী বৃষ্টি আক্তার ও স্বামী রানাসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে।

তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক খোন্দকার শওকত জাহান জানান, ভবানীপুর এলাকার সিএনএ পোশাক কারখানায় চাকরি করার সময় রানা ও আয়েশার মধ্যে পরিচয়। তাদের মধ্যে প্রেম ভালোবাস হয় এবং পরিবারের অমতে তারা আড়াই বছর আগে বিয়ে করেন। এক পর্যায়ে আয়েশার পরিবার বিয়ে মেনে নেন। মাদকাসক্ত স্বামী রানা যৌতুকের জন্য আয়েশাকে চাপ দিতে থাকেন। যৌতুক না দেয়ায় স্বামী রানা ৩ জুন স্বপন নামের এক দালালের মাধ্যমে রাজবাড়ীর দৌলদিয়া পতিতালয়ে সর্দারনী বৃষ্টি আক্তারের কাছে ৬৩ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন।

এক খদ্দেরের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে ওই গৃহবধূ তার মাকে জানান যে তাকে তার স্বামী পতিতালয়ে বিক্রি করে দিয়েছেন। পুলিশ ২৪ জুন তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রযুক্তির মাধ্যমে ওই খদ্দেরকে সনাক্ত করেন। পরে খদ্দেরকে সঙ্গে নিয়ে বুধবার রাতে দৌলতদিয়া পতিতালয়ে অভিযান চালিয়ে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করা হয়। পতিতা সর্দার বৃষ্টি আক্তারকেও আটক করা হয়।

এ ঘটনায় স্বামী রানা, রানার ভাই আশরাফুল ইসলাম ও আব্দুল আলীমকে গ্রেফতারের পর বৃহস্পতিবার বিকেলে গাজীপুরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে হাজির করা হলে আদালত সকল আসামিদের জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
                    
মো. আমিনুল ইসলাম/এমজেড/এমএস