ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

‘কথা রাখেনি কেউ’

জেলা প্রতিনিধি | দিনাজপুর | প্রকাশিত: ০৮:০২ পিএম, ১২ মে ২০১৮

দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ-খানসামা উপজেলার আত্রাই নদীর ওপর ঝাড়বাড়ি-জয়গঞ্জ খেয়াঘাটে সেতুর দাবিতে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী।

শনিবার সকাল ১০টায় বীরগঞ্জ উপজেলার ঝাড়বাড়ি চৌরাস্তা মোড়ে ঝাড়বাড়ি-জয়গঞ্জ খেয়াঘাট সেতু বাস্তবায়ন কমিটির আয়োজনে সামাজিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ এ মানববন্ধনে অংশ নেয়।

ঝাড়বাড়ি-জয়গঞ্জ খেয়াঘাটে সেতু না থাকায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছে চার জেলার কয়েক লাখ মানুষ। আত্রাই নদীর এ অংশে একটি সেতু হলে দিনাজপুরের বীরগঞ্জের পাঁচটি ইউনিয়নসহ ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় জেলার সঙ্গে নীলফামারী জেলার সরাসরি যোগাযোগ শুরু হবে।

বীরগঞ্জ উপজলোর ঝাড়বাড়ি চৌরাস্তা মোড় থেকে আত্রাই নদী পার হয়ে পূর্ব দক্ষিণে নীলফামারী ১৭ কিলোমিটার আর আত্রাই নদীর পশ্চিমে ঠাকুরগাঁও ২২ কিলোমিটার।

ঝাড়বাড়ি-জয়গঞ্জ খেয়াঘাট সেতু বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক শেখ মো. জাকির হোসেন বলেন, আত্রাই নদীতে সেতুর অভাবে যুগ যুগ ধরে দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ-খানসামা উপজেলাসহ পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও-নীলফামারী জেলার কয়েক লাখ মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকা এবং বাঁশের সাঁকো দিয়ে নদী পারাপার হচ্ছে।

তিনি বলেন, এই সেতুটি নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। দেশ স্বাধীনের পর থেকেই এ সেতু নির্মাণের জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অনেক আবেদন-নিবেদন করেও কোনো লাভ হয়নি। বিভিন্ন সময়ে রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে আশ্বাস পাওয়া গেলেও কেউ কথা রাখেনি। ফলে এ পথে যাতায়াত করতে শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের জনগণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসীকে নিয়ে আন্দোলন করে আসছি সেতুটি নির্মাণের দাবিতে।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন- সেতু বাস্তবায়ন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আবু বক্কর সিদ্দিক, যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. এ.বি.সিদ্দিক, শতগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ আতাউর রহমান, যুবলীগ সভাপতি হেলাল ফকির, সাধারণ সম্পাদক বিকাশ দেবনাথ, মো. ইউসুফ আলী, মো. মতিউল ইসলাম ও তাসমি আল বারি প্রমুখ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শেখ ফরিদ সবুজ, সদস্য রুবাইয়াত ই ওমর ফারুক, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. আরিফ রব্বানী, মো. নরুল আমিন, মো. হাসিনুর রহমান, মো. আনোয়ার, মো. রাশিদুল ইসলাম (রাশেদ) মো. আতিক, মো. মামুন ও মো. রশিদুল ইসলামসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ।

এমদাদুল হক মিলন/এএম/জেআইএম

আরও পড়ুন