কেরানিকে লাঞ্ছিত করায় লঞ্চ মালিক শ্রমিকদের বন্দর ত্যাগ
নরসিংদী নদী বন্দরের নির্ধারিত ঘাট থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। নৌবন্দরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও স্পিডবোট শ্রমিকরা লঞ্চের এক কেরানিকে শারীরিকভাবে হেনস্থা, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়ায় গত ছয়দিন যাবত ঘাটে লঞ্চ ভিড়ছে না।
পুরাতন লঞ্চ ঘাট থেকে আপাতত লঞ্চ গন্তব্যে ছেড়ে যাচ্ছে। ফলে এ রুটে নিয়মিত যাতায়াতকারী মানুষের চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। লঞ্চ যাতায়াতের জন্য নির্মিত সরকারি নৌ বন্দরের চৌহদ্দি দখল করে ব্যবসা করছেন অবৈধ ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও স্পিডবোট মালিকরা।
সূত্রে জানা গেছে, গত ১ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২টায় ‘এম এল নীলা’ লঞ্চের কেরানি মো. হাশেম মিয়া নৌবন্দরের ভেতরের টার্মিনালে দাঁড়িয়ে যাত্রীদের লঞ্চে উঠতে ডাকাডাকি করেন। এ সময় ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও স্পিড বোট শ্রমিকরা তাকে যাত্রী ডাকতে নিষেধ করেন। নিষেধ না মেনে যাত্রী ডাকায় তারা ছুটে এসে হাশেম মিয়াকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে সেদিন থেকেই লঞ্চ মালিকরা বন্দর ত্যাগ করেন।
জানা গেছে, নরসিংদী নৌবন্দর থেকে নরসিংদী-ছলিমগঞ্জ- নবীনগর রুটে ১৩টি লঞ্চ চলাচল করে। নরসিংদী নৌবন্দরটি তাদের জন্য নির্মিত হলেও বহিরাগত সন্ত্রাসীরা বন্দরের চারপাশে অবৈধভাবে ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও স্পিডবোট ঘাট তৈরি করে দীর্ঘদিন যাবত যাত্রী আনা নেয়া করছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক লঞ্চ মালিক জানান, অবৈধভাবে গড়ে ওঠা নৌকা ও স্পিডবোট মালিক শ্রমিকদের দাপটে মনে হয় তারাই (লঞ্চমালিকরা) বহিরাগত। স্থানীয় সন্ত্রাসীদের মদদে তারা নানা অজুহাতে লঞ্চ মালিক ও শ্রমিকদের অপমান অপদস্থ করার অপচেষ্টা করে। গায়ে পড়ে ঝগড়া করে পরিবেশ অশান্ত করে। তারা সর্বশেষ শ্রমিকদের লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে বন্দর ত্যাগ করার বিষয়টি বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালককে (বন্দর) অবহিত করেছেন। তারা মালিক শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বন্দরে নৌপুলিশ নিয়োজিত করার দাবি জানান।
বন্দর ত্যাগ করার বিষয়ে জানতে চাইলে ভৈরব জোন লঞ্চ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি জহিরুল হক খান বলেন, শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করে আমরা বন্দর ত্যাগ করেছি। তবে কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে এ ব্যাপারে তিনি বিস্তারিত বলতে রাজি হননি।
এমইউ/আরএআর/পিআর