স্বামী বলে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে চলে যা
‘আমাকে মারপিট করে মোস্তাফিজুর রহমান বলে, কাবিনের ৩০ হাজার টাকা নিয়ে কেটে পড়। তুই চলে যা, তোকে রাখব না। আমি কারণ জানতে চাইলে আরও বেধড়ক মারপিট করে। ১০ দিন আগে আমাকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে মোস্তাফিজুর। এরপর আমার পরিবারের সদস্যরা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও এখন স্বামী মোস্তাফিজুর রহমানের বাড়িতে যেতে পারছি না।’
স্বামীর নির্যাতনের কথাগুলো এভাবেই বলেছেন সাতক্ষীরা সদরের লাবসা ইউনিয়নের ফুলবাড়ি গ্রামের মৃত. নুর ইসলাম সরদারের মেয়ে আসিয়া খাতুন।
তিনি বলেন, ১০ দিন আগে আমাকে মারপিটের একপর্যায়ে দেড় বছর বয়সী মেয়ে নুসরাত জাহান মিতুকে মাথায় তুলে খাটের ওপর আছাড় দেয় মোস্তাফিজুর রহমান। কোন কারণ ছাড়াই বিভিন্ন সময় অকারণে আমার ওপর নির্যাতন চালায় সে। আমি স্বামীর সঙ্গে সংসার করতে চাই, কিন্তু কোনো উপায় পাচ্ছি না।
আসিয়া খাতুনের চাচা মকছেদ আলী বলেন, তিন বছর আগে থানাঘাটা গ্রামের গফফার সরদারের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে ৩০ হাজার টাকা কাবিনে বিয়ে হয় আসিয়ার। সব কিছু ভালোভাবেই চলছিল। কিন্তু প্রায় দেড় বছর আগে থেকে আসিয়ার ওপর নির্যাতন শুরু করে স্বামী মোস্তাফিজুর রহমান। এর আগেও মারপিটের ঘটনার একপর্যায়ে থানায় অভিযোগ জানালে বৈঠক হয়। সেখানে মুচলেকা দিয়ে আসিয়াকে বাড়িতে নিয়ে যায় স্বামী মোস্তাফিজ।
স্ত্রীর অভিযোগের বিষয়ে স্বামী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমি তার সঙ্গে সংসার করতে চাই। আমার স্ত্রীর একটু মাথায় সমস্যা রয়েছে। বিভিন্ন সময় ঝগড়া করে। আমার মা-বাবাকে নিয়ে গালমন্দ করে। এটা নিয়ে একটু ঝগড়া হয়েছিল। পরে হাসপাতালে ভর্তি হয়। চিকিৎসার সব খরচ আমি দিয়েছি। সংসার করতে চাই বলেই এর আগেও থানা থেকে তাকে বাড়িতে নিয়ে এসেছিলাম।
সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, এর আগেও তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক ঝামেলা হয়েছিল। পরে ছেলেটি মুচলেকা দিয়ে তার স্ত্রীকে নিয়ে যায়। বর্তমান ঘটনার বিষয়ে এখনো থানায় অভিযোগ জানায়নি। অভিযোগ পেলে এবার আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আকরামুল ইসলাম/এএম/পিআর