ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে মিলল বিপুল পরিমাণ গরিবের চাল
ফাইল ছবি
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা ও নান্দাইল থেকে অতিদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ১৮৪ বস্তা ভিজিডির চাল জব্দ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার নান্দাইল উপজেলা আচারগাঁও থেকে ৬০ বস্তা ও মুক্তাগাছা উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে ১১৪ বস্তা চাল জব্দ করা হয়।
মুক্তাগাছা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কামরুন্নাহার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ইফতেখার রসুল চৌধুরী ওরফে সুমন চৌধুরীর হেফাজতে থাকা ওই চাল জব্দ করেন।
মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে ৯নং কাশিমপুর ইউনিয়নের ৩০৩ জন সুবিধাভোগী অতিদরিদ্র ভিজিডি কার্ডধারীদের মাঝে ৯০ কেজি করে ৩ মাসের চাল বিতরণ করা হয়। সেখানে প্রতিটি ৩০ কেজি ওজনের ১১৪ বস্তা চাল বিতরণ না করে পাচারের উদ্দেশ্যে রেখে দেয়া হয়। চালগুলো পাচারের সুযোগ না পাওয়ায় বস্তাগুলো ইউপি চেয়ারম্যানের হেফাজতে ইউপি ভবনের একটি কক্ষে রেখে দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি জানতে পেরে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা থানা পুলিশের সহায়তায় অভিযান চালিয়ে ওই চাল জব্দ করেন। দীর্ঘদিন স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে রেখে দেয়ায় চালে পোকা ধরে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়ে গেছে।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কামরুন্নাহার জানান, গরিব মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত চাল বিতরণ না করে রেখে দেয়ায় আমরা তা জব্দ করেছি। এ ব্যাপারে কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে কথা বলে মামলাসহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান সুমন চৌধুরী জানান, জানুয়ারি মাসে বিতরণ করা কার্ডে গরমিল থাকায় চালগুলো রেখে দেয়া হয়েছে। ইউপি মেম্বাররা সুবিধাভোগীর কার্ডে জালিয়াতি করে পাইকারদের কাছে বিক্রি করে দিতে চেয়েছিল। পরে সেগুলো রেখে দেয়া হয়। তবে স্থানীয়দের দাবি চেয়ারম্যান নিজেই এর সঙ্গে জরিত রয়েছেন।
অপরদিকে জেলার নান্দাইল উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে বৃহস্পতিবার দুস্থ নারীদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিডি প্রকল্পের ৬০ বস্তা চাল (২৪০৬ কেজি) ২টি ট্রলি যোগে পাচারকালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা আক্তার আটক করে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন। জব্দকৃত চালের মূল্য প্রায় এক লাখ টাকা।
রকিবুল হাসান রুবেল/এফএ/এমএস