ফ্যান্টাসি কিংডমে তিল ধারণের ঠাঁই নেই
ঢাকার অদূরে আশুলিয়ার ফ্যান্টাসি কিংডমে নেচে-গেয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পরিবার, বন্ধু-বান্ধবীদের নিয়ে ভিড় জমিয়েছেন বিনোদনপ্রেমীরা। ঈদের তৃতীয় দিন শনিবার সকাল থেকে থিম পার্কখ্যাত জামগড়ার ফ্যান্টাসি কিংডমে হাজার হাজার দর্শনার্থীদের ও ভ্রমণপিয়াসীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।

বড়দের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পরিবারের সঙ্গে আনন্দ উপভোগ করতে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে এসেছে ছোটরাও। দূর-দূরান্ত থেকে প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়ে ঈদ উদযাপনে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ছুটে এসেছেন তারা। প্রচণ্ড গরম আর দীর্ঘ লাইন সত্ত্বেও শিশু-কিশোর-বৃদ্ধ সবাই এসেছেন ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে। আর এতে করে উৎসবের আমেজ আরেকটু বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করছেন আয়োজকরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদের ছুটিতে দর্শনার্থীদের পদচারণায় কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠেছে সাভারের আশুলিয়ার জামগড়ায় কনকর্ড গ্রুপের থিম পার্ক ফ্যান্টাসি কিংডম, বাড়ইপাড়া এলাকার নন্দন পার্ক, বলিয়াপুর এলাকার যমুনা ন্যাচারাল পার্ক ও ধামরাইয়ের আলাদিনস পার্ক।
পার্কগুলোতে সব বয়সী বিনোদনপ্রেমী দর্শনার্থীর জন্য বিভিন্ন রকমের রাইডগুলো ছুটে চলছে আপনগতিতে। সেখানে দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করতে নতুন নতুন রাইড সংযোজনের পাশাপাশি নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

নিম্নআয়ের মানুষেরা বিনোদনের জন্য বেছে নিয়েছেন জাতীয় স্মৃতিসৌধ, মিনি চিড়িয়াখানা, নীলা বিথী পিকটিন স্পট, শহীদ রফিক সেতু, বংশী নদীর পাড় ও আশুলিয়ার বেড়িবাঁধ এলাকা।
রাজধানীর উত্তরা থেকে পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে আসা সাথী আক্তার বলেন, ঈদের ছুটিতে সাভারের ফ্যান্টাসি কিংডমে এসে অনেক মজা করেছি। সব ধরনের রাইডে চড়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আনন্দ উপভোগ করার মজাই আলাদা।

সকাল থেকে ফ্যান্টাসি কিংডমে রয়েছেন শাহাদাত ও তার পরিবার। তাদের মতো আরও দর্শনার্থী বিভিন্ন স্থান থেকে যোগ দিয়েছেন এখানে। মজার মজার বিভিন্ন রাইডে চড়ে আর নেচে-গেয়ে মাতিয়ে তুলেছেন পার্ক এলাকা।
ফ্যান্টাসি কিংডমের প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, বিনোদনপ্রেমীদের জন্য নতুন নতুন খেলা প্যাকেজ ইত্যাদির আয়োজন করা হয়েছে। সবার জন্য আলাদা আলাদা সুবিধা সংবলিত প্যাকেজ করা হয়েছে। এছাড়া আমাদের নিজস্ব নিরাপত্তার পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা নেয়া হয়েছে। জনসমাগমকে কেন্দ্র করে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

নিরাপত্তা ব্যবস্থার ব্যাপারে সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তাহমিদুল ইসলাম বলেন, সবাই যাতে নির্বিঘ্নে আনন্দ করতে পারেন আমরা সেদিকে বেশি নজর দিয়েছি। সিসি ক্যামেরা, পোশাকে-সাদা পোশাকে নিরাপত্তা প্রহরী আর আনসার সদস্যের পাশাপাশি রয়েছে পুলিশ।
আল-মামুন/এএম/এমএস