ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ছাত্রীনিবাস থেকে স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার ৩

জেলা প্রতিনিধি | শেরপুর | প্রকাশিত: ০৮:৫৮ এএম, ০৭ জুলাই ২০১৯

শেরপুর শহরের সজবরখিলা এলাকার ফৌজিয়া মতিন পাবলিক স্কুলের ছাত্রীনিবাস থেকে আনুশকা আয়াত বন্ধন (১৪) নামে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। শনিবার (৬ জুলাই) রাতে নিহতের বাবা আনোয়ার জাহিদ বাবু মৃধা বাদী হয়ে সদর থানায় ওই মামলা করেন।

এদিকে, মামলা গ্রহণের পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি ওই স্কুলের পরিচালক আবু ত্বাহা সাদীসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। অন্য দুজন হচ্ছেন- সাদীর স্ত্রী নাজনীন মোস্তারি নূপুর ও তার বড়ভাই শিবলী।

শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ফৌজিয়া-মতিন পাবলিক স্কুলের ছাত্রী বন্ধনের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় বাবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি হত্যা মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। সেই মামলায় ফৌজিয়া মতিন পাবলিক স্কুলের পরিচালক, তার স্ত্রী ও এক ভাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। ময়নাতদন্তের বিষয়ে এখনও চিকিৎসকের মতামত জানা যায়নি।

এদিকে স্থানীয়ভাবে গুঞ্জন ওঠেছে, বন্ধনকে ধর্ষণের পর হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়ে থাকতে পারে। কিংবা ধর্ষণের শিকার হয়ে সে নিজেও গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। কারো কারো ধারণা, কোনা মনোকষ্ঠের কারণে কিংবা আবেগতাড়িত হয়ে সে গলায় ফাঁস দিতে পারে।

অবশ্য পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় যেহেতু একটি হত্যা মামলা হয়েছে, তাই পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ছাড়া কিছু বলা সম্ভব নয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফৌজিয়া-মতিন পাবলিক স্কুলের পরিচালক আবু ত্বাহা সাদী জামায়াত সমর্থক। ছাত্রজীবনে তিনি ইসলামি ছাত্র শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও নাশকতার একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

উল্লেখ্য, গতকাল (৬ জুলাই) দুপুরে জেলা হাসপাতাল থেকে পুলিশ আনুশকা আয়াত বন্ধনের মরদেহে উদ্ধার করে। ওমান প্রবাসী শ্রীবরদী উপজেলার পূর্ব ছনকান্দা গ্রামের আনোয়ার জাহিদ বাবুল মৃধার মেয়ে সে। শহরের সজবরখিলা এলাকার ফৌজিয়া মতিন পাবলিক স্কুলের ছাত্রীনিবাসে থেকে ওই স্কুলে লেখাপড়া করতো। শনিবার সকালে বন্ধনকে নিজ কক্ষে ওড়না পেঁচিয়ে সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলে থাকতে দেখে এক ছাত্রী চিৎকার দিলে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে পাঠায়। এ সময় সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে দাবি করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে পরিবারের লোকজন দাবি, তাকে (বন্ধনকে) হত্যার পর আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়। এ ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।

খবর পেয়ে জেলা পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ জেলা হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তকালে উপস্থিত ছিলেন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরে বিস্তারিত জানাতে পারব।

হাকিম বাবুল/এমএমজেড/জেআইএম

আরও পড়ুন