বরিশালে ভ্যাট কর্মকর্তা কারাগারে
মুল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আদায়ের নামে ইটভাটা ব্যবসায়ীদের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে আটক বরিশাল কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট সার্কেল-৩ এর সাবেক উপ পরিদর্শক নুরুল আমিন মোল্লাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলা দায়েরের পর শুক্রবার দুপুর ৩টার দিকে তাকে বরিশাল সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। আদালতের বিচারক মো. এনায়েতুল্লাহ অর্থ আত্মসাৎ মামলায় সাবেক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হিজলা উপজেলার ইটভাটা ব্যবসায়ীরা নুরুল আমিনকে হাতেনাতে আটক করার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
হিজলার ইআরভি ইটভাটার মালিক শহীদ মেল্লা জানান, বরিশাল কাস্টমস অফিসের সাবেক উপ পরিদর্শক নুরুল আমিন মোল্লা অবসরের তথ্য গোপন রেখে ভ্যাটের কিস্তি বাবদ বৃহস্পতিবার তার কাছ থেকে ৬৭ হাজার ৫০০ টাকা নেন। সোনালী ব্যাংকে ওই পরিমাণ টাকা জমা দেয়ার রশিদ কিছুক্ষণ পর ফেরত দিয়ে যান তিনি।
কিন্ত রশিদে ঘষামাজা দেখে তার (শহীদ) সন্দেহ হলে তিনি হিজলা সোনালী ব্যাংক কার্যালয়ে গিয়ে খোঁজ-খবর নেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপক সাইদুর রহমান তাকে জানান, ইআরভি ইটভাটার ভ্যাট বাবদ সাড়ে ৭ হাজার টাকা জমা দিয়েছেন কাস্টমস কর্মকর্তা নুরুল আমিন।
ইটভাটা মালিক শহীদ তাৎক্ষণিক মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে নুরুল আমিনকে ব্যাংকে ডেকে এনে তাকে আটক করেন। খবর পেয়ে অন্যান্য ইটভাটা মালিকরা ব্যাংকে এসে জমা খাতায় দেখতে পান যে, তারা প্রত্যেকে অর্ধলক্ষাধিক টাকা দিলেও ব্যাংকে জমা হয়েছে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা।
সিভিসি ইটভাটার মালিক শহীদুল ইসলাম জানান, তিনি গত ৪ সেপ্টেম্বর ১ লাখ ৫ হাজার টাকা দিয়েছেন কাস্টমস কর্মকর্তা নুরুল আমিনকে। ব্যাংকের জমা হয়েছে মাত্র ৫ হাজার টাকা। অথচ তাকেও ১ লাখ ৫ হাজার টাকার জমা রশিদ দিয়েছে নুরুল আমিন।
হিজলার একাধিক ইটভাটা ব্যবসায়ী জানান, উপজেলার ১৬টি ইটভাটার প্রত্যেক মালিকের কাছ থেকে বাৎসরিক ভ্যাট বাবদ ২ থেকে আড়াই লাখ টাক নির্ধারন করা হয়েছে। বছরে ২/৩ কিস্তিতে ওই টাকা আদায় করতো কাস্টমসের উপ পরিদর্শক নুরুল আমিন। তিনি সর্বসাকুল্যে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে বাকি টাকা আত্মসাত করে আসছিলেন।
সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে ইটভাটা ব্যবসায়ীদের সন্দেহ হওয়ায় তারা নুরুল আমিনকে নজরদারীতে রেখেছিলেন।
হিজলা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সরোয়ার হোসেন জানান, নুরুল আমিন কয়েক বছর যাবত হিজলা-মুলাদীতে দায়িত্ব পালন করেছে। এক বছর আগে তিনি চাকনি থেকে অবসরগ্রহণ করেছে। কিন্ত তার অবসরের তথ্য গোপন রেখে দুই উপজেলার ইটভাটা থেকে ভ্যাটের টাকা তুলে আত্মসাত করে আসছিল। এর সঙ্গে বরিশাল কাস্টমস কার্যালয়ের যোগাসাজস থাকতে পারে বলে ওসির ধারণা।
ইটভাটা মালিক শহীদ মোল্লা বাদী হয়ে নুরুল আমিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে তাকে শুক্রবার আদালতে পাঠানো হয় বলে জানান ওসি।
সাইফ আমীন/এমএএস/পিআর
সর্বশেষ - দেশজুড়ে
- ১ স্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্কে জড়ানো চিকিৎসককে অব্যাহতি ও শোকজ
- ২ মৃতের বাড়ি থেকে ফেরার পথে সড়কে লাশ হলেন শাশুড়ি-পুত্রবধূ
- ৩ গাজীপুরে ভাড়া ফ্ল্যাটের দরোজা ভেঙে প্রধান শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার
- ৪ নির্বাচন কমিশন মেরুদণ্ডহীন, ইউনূসের হাত রক্তে রঞ্জিত
- ৫ ঠাকুরগাঁওয়ে সারের ডিলারশিপ বাঁচাতে পদ ছাড়লেন ইউপি চেয়ারম্যান