জীবনও বাঁচালেন, জামিনও দিলেন
জমি সংক্রান্ত মামলায় জামিনের জন্য একে একে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়ালেন সাত আসামি। এসময় আদালত পাঁচ জনের জামিন মঞ্জুর করেন। তবে মামলার প্রথম ও ২য় আসামিকে কাঠগড়ায় আটকে দেয় পুলিশ। কারণ তাদের জামিন মঞ্জুর হয়নি। এরপর পুলিশ তাদের হাতে হাতকড়া পরিয়ে দেন। সম্পর্কে এই দুই আসামি বাবা এবং ছেলে। এরপরই ঘটে এক হৃদয় বিদারক ঘটনা। হাতকড়া পরানোর পরপরই প্রথম আসামি খালেক অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ দৃশ্য দেখে ছেলে তসলিম পুলিশের কাছে বার বার পানির জন্য আকুতি করেন। তবে এতেও পানি পাননি তিনি। তখনো লুটিয়ে পড়া মানুষটির পাশে চলছিল বিচারিক কার্যক্রম।
ঘটনাটি বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে বিচারক সুকান্ত সাহার আদালতে ঘটে। বাবার জন্য ছেলের পানি চাওয়ার আকুতি পৌঁছায় বিচারকের কানে। এরপর তিনি নিজ উদ্যোগে আদালতের এক কর্মচারীর মাধ্যমে ওই আসামিকে পানি দেয়ার ব্যবস্থা করেন এবং দ্রুত তিনি ওই আসামির জামিনের পুনঃব্যবস্থা করতে বলেন আসামিপক্ষের অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলামকে। পরে তার জামিন মঞ্জুর করে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন বিচারক সুকান্ত শাহা।
এসময় আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, আসামির অসুস্থতার কথা আমাকে আগে জানাতে পারতেন। তবে কাঠগড়ার পাশে দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবল আসলামসহ অন্যরা এ ব্যাপারে কিছু বলতে চাননি।
উল্লেখ, জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়া এলাকায় জমি নিয়ে মারামারির ঘটনায় গত ৫ এপ্রিল মামলা করেন প্রতিবেশী সফিকুল। এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সেলিম, ফয়জুল, মফিজুল, সুলতান ও পশিনা। এদিকে বৃহস্পতিবার আদালতে মামলার চার্জশিট দাখিল করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
এমএএস/পিআর
সর্বশেষ - দেশজুড়ে
- ১ স্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্কে জড়ানো চিকিৎসককে অব্যাহতি ও শোকজ
- ২ মৃতের বাড়ি থেকে ফেরার পথে সড়কে লাশ হলেন শাশুড়ি-পুত্রবধূ
- ৩ গাজীপুরে ভাড়া ফ্ল্যাটের দরোজা ভেঙে প্রধান শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার
- ৪ নির্বাচন কমিশন মেরুদণ্ডহীন, ইউনূসের হাত রক্তে রঞ্জিত
- ৫ ঠাকুরগাঁওয়ে সারের ডিলারশিপ বাঁচাতে পদ ছাড়লেন ইউপি চেয়ারম্যান