পঞ্চগড়ে বেড়েছে শীতের প্রকোপ, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৭ ডিগ্রি
পঞ্চগড়ে দিন দিন কমছে তাপমাত্রা। এতে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। মঙ্গলবার ও বুধবার জেলার কোথাও সূর্যের দেখা না মিললেও বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রোদের ঝলক দেখা গেছে। সকালে সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। কনকনে শীতে দুর্ভোগ বেড়েছে ছিন্নমূল আর খেটে খাওয়া মানুষের। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে স্থানীয়দের।
উত্তরের শুরুর জেলা পঞ্চগড় শীতপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত। এখানে কিছুটা আগে ভাগেই শীত শুরু হয় এবং দীর্ঘ সময় ধরে স্থায়ী হয় শীত। এবারও শীতের প্রকোপ আগে ভাগে শুরু হলেও কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। গত তিনদিন থেকে জেলায় ১০ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। কনকনে শীতে দুঃস্থ ও খেটে খাওয়া মানুষদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। নিম্ন আয়ের মানুষদের খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার সকালে সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া অফিস বলছে- চলতি সপ্তাহে জেলায় মৃদু অথবা মাঝারি ধরনের শৈতপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরের আগে জেলার সর্বত্র ঝলমলে রোদ্রের কারণে শীতের প্রকোপ কিছুটা কম অনুভূত হয়েছে। শীতের কারণে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়নি। তবে বহির্বিভাগে অসংখ্য শীতজনিত রোগীকে চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে। এ পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩০ হাজার কম্বলসহ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।

জেলা সদরের ডুডুমারি ডাংগাপাড়া এলাকার আফজাল হোসেন বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে অসহনীয় শীত অনুভূত হচ্ছে। কাঁথা-কম্বল দিয়েও কাজ হচ্ছে না। তবে দিনে তেমন ঠান্ডা নেই। তবে ডিসেম্বরের শেষ সময় থেকে জানুয়ারি জুড়ে এখানে তীব্র শীত অনুভূত হয়।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রহিদুল ইসলাম বলেন, বুধবার সর্বনিম্ন ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হলেও বৃহস্পতিবার সকালে সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। চলতি সপ্তাহে মৃদু অথবা মাঝারি ধরণের শৈতপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, এই জেলায় প্রতি বছর শীতের তীব্রতা বেশি থাকে। এবারও শুরু থেকে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। তবে দিনে রোদের কারণে শীত কিছুটা সহনীয় মাত্রায় রয়েছে।
তিনি জানান, সরকারিভাবে এ পর্যন্ত ৩০ হাজার কম্বলসহ শীতবস্ত্র ইতোমধ্যে বিভিন্ন উপজেলায় বিতরণ করা হয়েছে। আরও শীতবস্ত্রের জন্য চাহিদা দেয়া হয়েছে। এর বাইরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি উদ্যোগে বিভিন্ন এলাকায় শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে।
সফিকুল আলম/আরএআর/এমকেএইচ