ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

নীলফামারীতে পুলিশ-গ্রামবাসীর সংঘর্ষ

জেলা প্রতিনিধি | নীলফামারী | প্রকাশিত: ০৫:২২ পিএম, ২৭ এপ্রিল ২০২০

 

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ঈদগা ময়দানকে নদী ভাঙন থেকে রক্ষার্থে স্বেচ্ছাশ্রমে বালুর বাঁধ নির্মাণে বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে এ সংঘর্ষ হয়।

এ ঘটনায় পুলিশের আহত ওসি (তদন্ত) ও এক দম্পতিকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে ওসি (তদন্ত) মো. মফিজুল হককে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের হাটখোলা গ্রামের পাশ দিয়ে যাওয়া চারালকাটা নদী খননে গ্রামের ঈদগা ময়দানটি ভাঙনের কবলে পড়ে। ফলে গ্রামবাসী স্বেচ্ছায় ঈদগা ময়দান রক্ষার্থে বালির বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করেন। কিন্তু ওই গ্রামের মৃত ঈসা উদ্দিনের ছেলে তছলিম উদ্দিন ঈদগা ময়দানের জায়গা তার নিজের দাবি করে গ্রামবাসীকে বালির বাঁধ নির্মাণে বাধা দেন। এ সময় তার লোকজন নিয়ে ২১ এপ্রিল গ্রামের আলমগীর হোসেনসহ চারজনকে মারপিটও করেন। আহতরা হাসপাতালে ভর্তি হয়।

এ ঘটনায় ২২ এপ্রিল তছলিম উদ্দিনসহ তার বাহিনীর বিরুদ্ধে আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর ৭)। অপর দিকে তছলিম উদ্দিনও পাল্টা মামলা দায়ের করেন।

সোমবার সকালে যখন এলাকাবাসী পুনরায় ঈদগা ময়দানের সামনে সেচ্ছায় বালির বাঁধের কাজ করছিলেন সে সময় তছলিম উদ্দিন তার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুল ওয়াবকে ফোন করে ঘটনাস্থলে ডেকে নিয়ে আসেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই এসআই ঘটনাস্থলে এসেই মানুষজনকে লাঠিপেটা করতে থাকেন। প্রতিবাদ করতে গেলে গ্রামের ইলিয়াছ হোসেনকে (৪৫) পানিতে ফেলে মারপিট ও পানির নিচে পা দিয়ে চেপে ধরেন ওই এসআই। স্বামীকে উদ্ধার করতে ছুটে গেলে ইলিয়াছ হোসেনের স্ত্রী তহমিনা বেগমকেও (৩৫) ওই এসআই লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। এতে গ্রামবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে ওই এসআইকে ধাওয়া করলে তিনি দৌড়ে পালান।

খবর পেয়ে কিশোরীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মফিজুল হকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ এসে গ্রামবাসীর ওপর লাঠিচার্জ করতে গেলে গ্রামবাসী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ অবস্থায় পুলিশের দলটি একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয়।

এরপর ঘটনাস্থলে আসেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বারী। তার সহায়তায় উপজেলা হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্স এনে আহত ওসি (তদন্ত) ও আহত দম্পতিকে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে আহত ওসিকে (তদন্ত) উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

এ সময় গ্রামবাসী পুলিশ সদস্যদের বিচার ও অপসারণ দাবি করে বিক্ষোভ করতে থাকের। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে আসেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সৈয়দপুর সার্কেল) অশোক কুমার পাল। তিনি তদন্তের মাধ্যমে দোষি পুলিশ সদস্যেদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বারী জানান, থানার এসআই আব্দুল ওহাবের কারণে আজ এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

জাহেদুল ইসলাম/এফএ/এমকেএইচ