ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ইতালির উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে লিবিয়ায় গিয়ে লাশ

জেলা প্রতিনিধি | মাগুরা | প্রকাশিত: ০৩:০৭ পিএম, ৩০ মে ২০২০

লিবিয়ায় মানবপাচারকারীদের গুলিতে নিহত ২৬ বাংলাদেশির মধ্যে মধ্যে মাগুরার এক যুবক রয়েছেন। তার নাম লাল চাঁদ। তিনি মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের নারায়ণপুর এলাকার ইফসুফ খানের ছেলে। এছাড়াও এ ঘটনায় একই এলাকার ফুল মিয়ার ছেলে তরিকুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে সেখানে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। লাল চাঁদের মৃত্যুর খবরে তার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। স্বজনদের আহাজারি যেন থামছেই না।

নিহত লাল চাঁদের বাবা ইউসুফ খান জাগো নিউজকে জানান, তার ছেলে ইতালিতে অভিবাসনের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। গত বছরের শেষের দিকে লাল চাঁদ দুবাই হয়ে বেনগাজি বিমান বন্দরে পৌঁছান। এরপর গত কয়েক মাস ধরে তাকে লিবিয়ার ভেতরে গোপনে রাখা হয়েছিল। পরে ভূ-মধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালির দিকে রওনার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে পরিকল্পনা মাফিক কোনো কাজ হয়নি।

তিনি আরও জানান, লাল চাঁদ আনুমানিক ১৫ দিন ধরে মানবপাচারকারী চক্রের হাতে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলির দক্ষিণের শহর মিজদায় অন্যদের সঙ্গে আটক ছিলেন। মানবপাচারকারী সঙ্গে আটক হওয়া অভিবাসন প্রত্যাশীদের মুক্তিপণ নিয়ে দর কষাকষি চলছিল। মুক্তিপণের টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা তার। এ ঘটনায় ক্ষতিপূরণসহ ন্যায় বিচারের দাবি জানিয়েছেন নিহত লাল চাঁদের বাবা ইউসুফ খান ।

এদিকে আহত তারিকুলের দুলাভাই মো. জিনারুল ইসলাম জানান, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে কামাল হাজী নামে এক দালালের মাধ্যমে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে তারা (তরিকুল ও লালচাঁদ) লিবিয়া যান। তারা দুজনই টাইলস মিস্ত্রি। কথা ছিল লিবিয়ার ত্রিপলিতে টাইলস মিস্ত্রির কাজ পাইয়ে দেবে। কিন্তু গত সাত মাসে তাদের লিবিয়ার ত্রিপলিতে পৌঁছে দিতে পারেনি দালাল চক্র। তাদেরকে লিবিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মিজদার একটি ক্যাম্পে আটকে রাখা হয়েছিল। সেখানেই এ মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।

আরাফাত হোসেন/আরএআর/পিআর