চিকিৎসার জন্য ডেকে নিয়ে পল্লী চিকিৎসককে হত্যা
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙায় চিকিৎসার জন্য বাসা থেকে ডেকে নেয়ার ১০ ঘণ্টা পর নুর মোহাম্মদ টিপু নামে এক পল্লী চিকিৎসকের মরদেহ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (২৪ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে খাগড়াছড়ি-ঢাকা আঞ্চলিক সড়কের সাপমারা ব্রিজের নিচ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় তার পা বাঁধা ছিল এবং মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
নিহত নুর মোহাম্মদ টিপু খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের সিলেটি পাড়ার বাসিন্দা। তিনি পেশায় পল্লী চিকিৎসক ছিলেন।
নিহতের স্বজনরা জানান, বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) রাতে ঘরেই ছিলেন পল্লী চিকিৎসক নুর মোহাম্মদ টিপু। ভোররাত ৪টার দিকে স্বজনের অসুস্থতার কথা বলে তাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যান তিন অজ্ঞাত যুবক। রাত গড়িয়ে সকাল হলেও নুর মোহাম্মদ টিপু ফিরে না আসায় তার স্ত্রী তাকে ফোন দিলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া তাদের মধ্যে আশঙ্কার সৃষ্টি হয়। বিষয়টি স্থানীয় পুলিশকে জানানো হয়।
এদিকে দুপুর দেড়টার দিকে স্থানীয়রা খাগড়াছড়ি-ঢাকা আঞ্চলিক সড়কের সাপমারা ব্রিজের নিচে ধলিয়া খালে বিবস্ত্র মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশে খবর দেন। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান সেনাবাহিনীর মাটিরাঙা জোনের অধিনায়ক লে. কর্নেল নওরোজ নিকোশিয়ার, খাগড়াছড়ির সহকারী পুলিশ সুপার মো. খোরশেদ আলম, মাটিরাঙা থানা পুলিশের ওসি মো. শামসুদ্দিন ভূঁইয়া, মাটিরাঙা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম হুমায়ুন মোরশেদ খান ও মাটিরাঙা পৌরসভার মেয়র মো. শামছুল হক।
সহকারী পুলিশ সুপার মো. খোরশেদ আলম বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।
মাটিরাঙা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুদ্দিন ভূঁইয়া জানান, ভোর ৪টার দিকে স্বজনের চিকিৎসার নামে তিন যুবক পল্লী চিকিৎসক টিপুকে ডেকে নিয়ে যান। এরপর দুপুরে তার মরদেহ পাওয়ায় যায়। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর হাত পা বেঁধে সাপমারা ব্রিজ এলাকায় ফেলে গেছে হত্যাকারীরা। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ধরতে কাজ শুরু করছে পুলিশ। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মুজিবুর রহমান ভুইয়া/আরএআর/পিআর