প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে কাপ্তাই হ্রদে
তিন মাস ১০ দিন বন্ধ থাকার পর দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ কৃত্রিম জলাধার কাপ্তাই হ্রদে সোমবার মধ্যরাত থেকে মাছ আহরণ শুরু হয়েছে। প্রতি বছরের মতো এবারও ১ মে থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছের বংশবৃদ্ধি, হ্রদে অবমুক্ত করা পোনা মাছের সুষ্ঠু বৃদ্ধি ও মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতকরণে মাছ আহরণ বন্ধ ছিল।
সোমবার রাত ১২টার পর নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হলে মাছ ধরতে নামেন জেলেরা। তিন মাস পর মাছ ব্যবসায়ী আর জেলেদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে ৭২৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের কৃত্রিম কাপ্তাই হ্রদ। মঙ্গলবার সকাল থেকেই জেলার প্রধান মৎস আহরণ কেন্দ্রে ছিল মাছ ব্যবসায়ীদের ভিড়।
সকালে রাঙামাটির বিএফডিসি মৎস্য পরিবহন ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, সকাল ৮টা থেকে কাপ্তাই হ্রদের বিভিন্ন স্থান থেকে মাছ আসা শুরু করেছে। বোটগুলো বিএফডিসি ঘাটে নোঙর করার পর রাজস্ব দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

মৎস্য ব্যবসায়ী মো. মুন্না বলেন, গতবারের চেয়ে এবার ব্যবসা ভালো হবে আশা করছি। কারণ বন্ধের মধ্যে ব্যবস্থাপনা ভালো ছিল। তাই আমরা আশা করছি গতবারের চেয়ে এবার মাছের পরিমাণ ভালো হবে। এছাড়া যেভাবে মাছ আসছে তাতে মনে হচ্ছে এবার আশানুরূপ ব্যবসা হবে। তবে পানি কম থাকায় প্রথমদিকে ভালো মাছ ধরা পড়লেও মৌসুমের শেষ দিকে মাছ পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছি।
রাঙামাটি মৎস্য ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক উদয়ন বড়ুয়া বলেন, মোটামুটি ভালোই মাছ আসছে। তবে ছোট মাছের সংখ্যা বেশি। এবার কাপ্তাই হ্রদে দেরিতে পানি আসার কারণে মাছ এখনও তেমন একটা বৃদ্ধি পেতে পারেনি।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) রাঙামাটি জেলার ব্যবস্থাপক লে. কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, প্রথমদিনে আশানুরূপ মাছ এসেছে। কিন্তু কাপ্তাই হ্রদে এখনও পানি কম। তাই মৌসুমের শেষ দিকে এসে একই হারে মাছ নাও পাওয়া যেতে পারে।

উল্লেখ্য, গত ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা ও পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ ছিল। ঈদের কারণে নিষেধাজ্ঞা ১০ আগস্ট পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়।
সাইফুল উদ্দিন/এফএ/এমকেএইচ