ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

জীবনে কখনোই ভাত মুখে তোলেননি মাগুরার সুমন!

জেলা প্রতিনিধি | মাগুরা | প্রকাশিত: ০৯:০৫ এএম, ১২ মার্চ ২০২১

ভাত-মাছ বাঙালির প্রধান খাবার। কিন্তু দুটি খাবারেই ভীষণ অরুচি মাগুরার ১৮ বছরের তরুণ সুমনের। কেবল অরুচিই নয়, ভাতের গন্ধই সহ্য হয় না তার। তাই কোনো দাওয়াতে গিয়েও তাকে খাবার টেবিল থেকে দূরে থাকতে হয়। ভাত বা বিরিয়ানি না খেয়ে খেতে হয় পাউরুটি অথবা সিঙ্গারা। এ কারণেই তিনি কোনো আত্মীয়ের বাড়িতেও যান না।

জেলার সদর উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নের আলাইপুর গ্রামের রিয়াজ মিয়ার ছেলে সুমন।

মাগুরা আদর্শ কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সুমনের একমাত্র অপছন্দের খাবার হলো ভাত। এ খাবারের গন্ধ নাকে গেলেও তিনি সেখান থেকে সরে যান।

জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই ভাতের প্রতি অনীহা। এরপর বড় হতে থাকলে ভাতের সাথে মাছের প্রতিও অনীহা সৃষ্টি হয়। প্রাইমারিতে থাকতে আমি পাউরুটি খেয়ে স্কুলে যেতাম। বাড়ি ফিরে ভর দুপুরে সিঙারা, চানাচুর কিংবা যেকোনো ভাজা-পোড়া খেয়েই দিন পার করতাম।’

তার প্রিয় খাবার হলো রুটি আর নুডলস।

সুমনের মা জেসমিন খাতুন জানান, ছেলে ডিম আর আলু খেয়ে ১৮ বছর কাটিয়ে দিয়েছে। তার পাশে কেউ ভাত খেলে সে দূরে চলে যায়। এমনকি আপন ছোট ভাই ভাত খায় বলে তাকে সে কোলেও নেয় না। এখন সকালে বিস্কুট খায়। দুপুরে রুটি করে দেয়া হয়। রাতে চিপস কিংবা ভাজা-পোড়া কিছু খায়।

সুমনের বাবা রিয়াজ মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন কলেজ বন্ধ থাকায় বাড়িতেই ছিল। তাকে ঢাকায় একটা চাকরি ঠিক করে দেই। কিন্তু ভাত খেতে হবে বলে সে চাকরিতে গেল না।

মাগুরার সিভিল সার্জন ডা. শহিদুল্লাহ দেওয়ান জাগো নিউজকে বলেন, ‘মানুষের বেঁচে থাকতে হলে মোট খাবারে ২০ শতাংশ ফ্যাট, ২০ শতাংশ প্রোটিন ও ২০ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট প্রয়োজন হয়। এটা যদি ভাত ছাড়াও হয় তবে কোনো সমস্যা নেই। তবে এই উপাদানগুলো যদি অতিরিক্ত মাত্রায় শরীরে জমা হতে থাকে তবে শারীরিক সমস্যা হতে পারে।’

মো. আরাফাত হোসেন/এসএস/এমকেএইচ